দূরত্ব: ইঁদপুরের একটি দোকানে রেশন সংগ্রহ। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়
যতটা চাহিদা, তত খাদ্যসামগ্রী মেলেনি বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া জেলার বেশ কিছু ডিলার রেশন সরবরাহ শুরু করেছেন। তবে দ্রুত পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “বিষয়টি নজরে রয়েছে। যাঁরা পর্যাপ্ত রেশন পাননি, তাঁদের দ্রুত দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
করোনার জেরে ‘লকডাউন’ চলছে দেশ জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষজনকে আগামী ছ’মাস বিনামূল্যে চাল, গম বা আটা বিলির কথা ঘোষণা করেছেন। এক মাসের রেশন সামগ্রী এক দফাতেই বিলির নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বাঁকুড়ায় যথেষ্ট জোগান না আসায় জেলার বেশ কিছু জায়গায় রেশন বিলি করা যায়নি বুধবার।
সোমবারই জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে পর্যাপ্ত জোগান-সহ নানা দাবিতে স্মারকলিপি দেয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক গুরুপদ ধক দাবি করেন, জেলায় প্রায় ১,২০০ রেশন ডিলার রয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ পর্যাপ্ত রেশন পেলেও বেশির ভাগই হয় কম পেয়েছেন, বা এখনও পাননি।
বুধবার বিষ্ণুপুরের এক রেশন ডিলার বলেন, ‘‘আমার কাছে সাড়ে চার হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিনামূল্যে বিতরণের খাদ্যসামগ্রী আমার কাছে এলেও অনেক ডিলারের কাছে আসেনি। ঝামেলার আশঙ্কায় বণ্টন স্থগিত রেখেছি।’’ মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, ‘‘শ্রমিক পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। পণ্য পৌঁছনোর অসুবিধা থাকায় উপভোক্তাদের হাতে বিনামূল্যে রেশন ১ তারিখে দেওয়া গেল না।’’ আজ, বৃহস্পতিবার থেকে রেশন বণ্টন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বিনামূল্যের রেশন দেওয়ার সময়ে ভিড় সামাল দিতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুরুপদবাবু। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “রেশন দোকানগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে।”