Coronavirus

ব্যাট-বল না কিনে ত্রাণ তহবিলে জন্মদিনের টাকা

করোনার জেরে ‘লকডাউন’ চলছে দেশ জুড়ে। দিন-আনা মানুষজন পড়েছেন সঙ্কটে। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩৬
Share:

জমানো টাকা বিডিও-র হাতে তুলে দিচ্ছে অনুভব। নিজস্ব চিত্র

ন’বছরের জন্মদিনে পাওয়া টাকা ব্যাট-বল কিনবে বলে বাবার কাছে গচ্ছিত রেখেছিল। তার পুরোটাই করোনা-ত্রাণে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিল বাঁকুড়ার ইঁদপুরের চাকলতোড় গ্রামের অনুভব দাস। স্থানীয় স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। অনুভবের বাবা প্রিয়ব্রত দাস জানান, সোমবার ইঁদপুর ব্লক অফিসে গিয়ে নিজের সঞ্চয়ের ১,০২৫ টাকা তহবিলে দিয়ে এসেছে ওই খুদে।

Advertisement

করোনার জেরে ‘লকডাউন’ চলছে দেশ জুড়ে। দিন-আনা মানুষজন পড়েছেন সঙ্কটে। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। এ দিন রাইপুর ব্লকের মোটগদা অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষকেরাও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এ দিনই ২০,০৫৩ টাকা দিয়েছেন। বিডিও (রাইপুর) সঞ্জীব দাসের হাতে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে চেকটি তুলে দেন পরীক্ষিৎ কামিল্যা।

বিষ্ণুপুর সাহাপাড়া নেতাজী যুবক সঙ্ঘ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে ১০ হাজার টাকা দান করেছে। সোনামুখীর পলাশডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেপাল নন্দী করোনা আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন বিডিও (‌সোনামুখী) দেবলীনা সর্দারের হাতে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শিশির মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে এক মাসের পেনশন দান করেন।

Advertisement

সারেঙ্গার ভালুকচিরা, বেনাডি, খামানি, শালডহরা, আঁধারিয়ার মতো নানা গ্রামে ৬০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হিড়বাঁধ ব্লকের নোয়াডিহি গ্রামের পটশিল্পীদের ৪০টি পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন এসডিও (খাতড়া) রবি রঞ্জন। ওই গ্রামের পটশিল্পী অশোক চিত্রকর বলেন, ‘‘গ্রামের শিল্পীরা বাইরে ছবি দেখাতে যেতে পারছেন না। রোজগার পুরো বন্ধ।’’

ইন্দাসের সোমসার শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা মন্দির প্রত্যেক দিন ১৫ জন দুঃস্থকে চাল,ডাল,সাবান ও মাস্ক দিচ্ছে। পাত্রসায়রের নারায়ণপুর অঞ্চলের বারাসত গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা ১১০ জন দুঃস্থ মানুষকে চাল-ডাল-তেল দিয়েছেন।

সোমবার মানবাজার শহরের চৌমাথায় এলাকার কিছু বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মীরা ৮০টি দুঃস্থ পরিবারকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস দেন। ছিলেন এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার। পুরুলিয়া আরপিএফ-এর উদ্যোগে পুরুলিয়া স্টেশনের বাইরে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে তেলকলপাড়া এলাকার প্রায় দেড়শো জনকে।

রেলের কুলি, ঠিকা শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মীদের চাল, ডাল, আলু, রান্নার তেল দিয়েছে আদ্রা ডিভিশনের কর্মাশিয়াল বিভাগ।

কাশীপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ১১০টি দরিদ্র পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। বরাবাজার লটপদা অঞ্চলের কুটরা শবর পাড়া ও তালাডি শবরপাড়ায় গিয়ে ২৪টি পরিবারে হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement