প্রতীকী ছবি।
নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আদ্রাতে রেলের বিভাগীয় সদর হাসপাতালে তিনটি তলা জুড়ে তৈরি হচ্ছে একশো শয্যার বিশেষ ওয়ার্ড। আদ্রার রেলের স্বাস্থ্য দফতরের সিএমএস কেবি সাহা বলেন, ‘‘রেলের হাসপাতালে বাইরের রোগীদেরও চিকিৎসা হবে। তবে বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিহ্নিত করা বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরেই এখানে রোগীদের পাঠানো হবে।”
রেল সূত্রের খবর, আক্রান্তদের চিকিৎসার রূপরেখা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করা হয়েছে। আদ্রার রেলের হাসপাতালে প্রথমে ভেন্টিলেশনে তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে তা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়। ঠিক হয়েছে, রেলের হাসপাতালে কোনও রোগীকে ভেন্টিলেশনে পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে পাঠানো হবে। দরকারে রেলের সঙ্গে চুক্তিবব্ধ কোনও বেসরকারি হাসপাতালেও পাঠানো হতে পারে।
আগেই রেল হাসপাতালের একাংশে আরপিএফের মহিলা কর্মীদের ব্যারাকটিকে ৪৮ শয্যার কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে। পরে আদ্রার রেলের বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে আরও দশ শয্যার কোয়রান্টিন। বন্ধ হয়ে যাওয়া সাউথ ইনস্টিস্টিউটে তিরিশ শয্যার কোয়রান্টিন করার পরিকল্পনা হয়েছে। দশ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডও তৈরি রয়েছে। তবে সিএমএস বলেন, ‘‘রবিবার পর্যন্ত কোয়রান্টিন বা আইসোলেশনে কাউকেই ভর্তি করাতে হয়নি।’’
অন্য দিকে, কাজের পরে রেল কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য আদ্রা ডিভিশনের চারটি শাখাতেই প্রতিদিন শাটল ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছে রেল কর্মী সংগঠনগুলি। রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে আদ্রা-মেদিনীপুর, আদ্রা-চান্ডিল, আদ্রা-বোকারো এবং আদ্রা-বার্নপুর — এই চার শাখায় প্রায় চারশো কর্মী কাজ করছেন। তাঁদের বেশির ভাগেরই বাড়ি আদ্রায়। রেলকর্মী সংগঠন মেনস কংগ্রেসের নেতা সুব্রত দে, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়রা জানান, ট্রেন বন্ধ থাকায় বাইরে কাজ করা কর্মীরা বাড়িতে ফিরতে সমস্যায় পড়ছেন। তাই প্রতিদিন শাটল ট্রেন চালানোর দাবি জানানো হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, এখন আদ্রা-বার্নপুর ও আদ্রা-বোকারো শাখায় এক দিন অন্তর শাটল ট্রেন চালানো হচ্ছে। বাকি দুই শাখাতেও শাটল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।