প্রতীকী ছবি।
দুবরাজপুর শহরে করোনা
সংক্রমণ যে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেই। কিন্তু, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শহরবাসী কোভিড টেস্ট করাতে রাজি না হওয়ায় করোনা চিত্র শহরে ঠিক কতটা মারাত্মক তা স্পষ্ট হয়নি। পরিস্থিতি বদলাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করল পুরসভা।
সোমবার বিকেলে দুবরাজপুর পুরসভার সভাকক্ষে শহরের বিভিন্ন ক্লাব, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, সমাজসেবী সংগঠন এবং শহরের কিছু বাসিন্দাকে নিয়ে এই বিষয়ক একটি বৈঠক করে পুরসভা। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পীষূষ পাণ্ডে, স্থানীয় বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি এবং দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পীযূষবাবু বলেন, “শহরে আয়োজিত আগামী শিবিরগুলিতে যাতে সকলে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে করোনা পরীক্ষা করান, সেই ব্যাপারে সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
ঘটনা হল, গত তিন সপ্তাহ ধরে ক্রমশ দুবরাজপুরের সংক্রমণের ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। বাজার লাগায়ো একটি পাড়ায় পর পর দু’দিনে ১১ জন এবং থানার একাধিক পুলিশ কর্মী ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৯ কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরেই পুর-এলাকার যত বেশি সংখ্যক বাসিন্দার কোভিড টেস্ট করিয়ে নিতে চেয়েছিল করোনা সংক্রান্ত ব্লক টাস্ক ফোর্স। বিশেষ করে ঘিঞ্জি বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের পরীক্ষা করানো বেশি জরুরি বলে জানিয়েছিল টাস্ক ফোর্স। সেই মতো প্রস্ততি নিলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছিলেন না কেউ। ব্যাপক প্রচার ও শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও করোনা পরীক্ষার শিবিরে লোকজন আসেননি।
দিন দশেক আগে শেষবার ৩৯ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের কোভিড ধরা পড়ে। দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে ওই সময়েই করোনা আক্রান্ত দুই বৃদ্ধ মারা যান। গত সপ্তাহে কোভিড আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায়ও। তার পরেও স্বেচ্ছায় পরীক্ষা করাতে লোকজন পাওয়া যাচ্ছে না বা তাঁদের রাজি করানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল। প্রশ্ন উঠেছিল পুরসভার ভূমিকা নিয়েও। সেই অভিযোগ হাল্কা করতেই পুরসভা তৎপর হল বলে মনে করা হচ্ছে।