প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় আরও একটি কোভিড হাসপাতালের ব্যবস্থা করল জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তারাপীঠ ঢোকার আগে একটি লজে ওই কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। জেলায় যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও হাসপাতাল দরকার ছিল। এই নতুন কোভিড হাসপাতালটি সেই কাজে আসবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লজে ১৬০ টি শয্যার ব্যবস্থা আছে। আপাতত ৪০টি শয্যা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর আগে তারাপীঠের ওই লজটি করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র হিসাবে ছিল। সর্দি-কাশি-জ্বর-গলা ব্যথার উপসর্গ থাকা রোগীদের করোনা সন্দেহে সেখানে রাখা হচ্ছিল। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই লজে রাখা হতো। এবং এখান থেকেই লালারস সংগ্রহ করে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শ্রমিকেরা লজেই থাকতেন।
কিন্তু, পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল নামতেই। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় সেই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জেলাতে প্রথমদিকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বোলপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়। সেখানে করোনা আক্রান্তদের জন্য ৪০টি সাধারণ শয্যা থাকলেও আক্রান্ত বাড়তে থাকায় এত জনের চিকিৎসা কোথায় হবে, তা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। দুর্গাপুরের সনকার কোভিড হাসপাতালেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। সম্প্রতি রামপুরহাটে একটি নার্সিংহোম, যেখানে প্রথম দিকে করোনা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা হচ্ছিল, সেই নার্সিংহোমকে লেভেল টু থেকে লেভেল থ্রি কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেও ৪০ টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু তাতেও জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা মেটেনি বলে সূত্রের খবর। রোগীদের চিকিৎসা কোথায় হবে, বোলপুরে না রামপুরহাটে—তা নিয়ে টানাপড়েনও চলেছে। তাতে রোগীদের হয়রানিও হয়েছে বিস্তর। সেই কারণে তারাপীঠ ঢোকার আগে লজটিতেও এ বার করোনা পজ়িটিভ রোগীদের চিকিৎসার ুপপরিকাঠামো গড়ে তুলছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, প্রথম থেকেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একটি দল ওই লজের করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া, ২৪ ঘন্টার জন্য নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নিযুক্ত আছেন। এ বার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যালের চিকিৎসকরা নিযুক্ত থাকবেন।