ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য তৈরি করা ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’কে হাসপাতাল থেকে পৃথক করতে এ বার বাঁকুড়া মেডিক্যালের লোকপুর ‘ইউনিট’-এ সরিয়ে আনা হচ্ছে। ‘আইসোলেশন’ ছাড়া, জ্বরে আক্রান্তদের ওয়ার্ডকেও সরিয়ে আনা হচ্ছে লোকপুর ‘ইউনিট’-এ।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান শনিবার বলেন, “আইসোলেশন ও ফিভার ওয়ার্ড যতটা সম্ভব মূল হাসপাতাল ভবন থেকে পৃথক রাখার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও কমবে।” তিনি জানান, কাল, সোমবার থেকে পুরোদমে লোকপুরে ‘আইসোলেশন’ ও ‘ফিভার ওয়ার্ড’ চালু হয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকপুর ‘ইউনিট’-এ থাকা চক্ষু ও কার্ডিওলজির ইনডোর ও আউটডোর বিভাগকে মেডিক্যালের গোবিন্দনগর ‘ইউনিট’-এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। গোবিন্দনগরের মানসিক বিভাগে গড়া হয়েছিল করোনা আক্রান্ত বা আক্রান্ত সন্দেহে থাকা রোগীদের ‘আইসোলেনশন ওয়ার্ড’। বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে মোট ১৫টি শয্যা রয়েছে। যার মধ্যে দু’টি ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা যুক্ত শয্যাও আছে। এ দিকে শনিবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তীর উদ্যোগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য ৪০টি গদি দেওয়া হয়েছে শহরের মিথিলা এলাকার একটি আবাসনের পক্ষ থেকে। অরূপবাবু বলেন, “ওই আবাসনের বাসিন্দাদের দেওয়া আবাসন পরিচালনার অর্থ থেকেই গদিগুলি কিনে দেওয়া হয়েছে।” অধ্যক্ষ জানান, হাসপাতালের অব্যবহৃত কিছু শয্যায় ওই গদিগুলি পেতে রোগীদের শয্যা হিসেবে কাজে লাগানো হবে। ওই আবাসনের বাসিন্দা দেবব্রত নন্দী বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতিতে কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পেরে আমরাও খুশি।”
এ দিকে, বুধবার রাতে বাঁকুড়া মেডিক্যালে করোনা-আক্রান্ত সন্দেহে পাত্রসায়র থেকে দু’জন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থেকে এক জনকে ‘আইসোলেশন’-এ ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন জনের লালা-রসের পরীক্ষা করে করোনার অস্তিত্ব মেলেনি। তাঁদের ছুটিও দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, “এই মুহূর্তে আইসোলেশন বা সরকারি কোয়রান্টিনে কেউ ভর্তি নেই।”