— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। তার পর সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বীরভূমের নানুরের এক বাসিন্দকে। বিচারাধীন ওই বন্দির শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বোলপুরের হাসপাতালে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকে পালাল সে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তমালিকা দাসের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে কয়েক বছর আগে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা সুজন দাসের (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির এক কন্যাসন্তান। কিন্তু সাংসারিক বিবাদের জেরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। ২০১৫ সালে যোগেশ্বরডিহির বাসিন্দা রবিন মণ্ডলের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিয়ে হয় তমালিকার। প্রথম পক্ষের কন্যাকে নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে নানুরের গ্রামে থাকতেন তিনি। কিন্তু তমালিকার ওই বিয়েও সুখের হয়নি। প্রায় দিনই দাম্পত্য কলহ হত। গত ৯ জুলাই থেকে তমালিকার খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। ১১ জুলাই নানুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। ১২ জুলাই সকালে অজয় নদ থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে নেমে তমালিকার ১৩ বছরের কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ৮ জুলাই গভীর রাতে সৎবাবা তার মাকে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, তাকেও যৌন হেনস্থা করেছে অভিযুক্ত। এমনকি, যে রাতে তমালিকাকে খুন করে রবিন, সেই রাতেও সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।।
টানা তল্লাশির পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে ছিল রবিন। মঙ্গলবার বোলপুর হাসপাতালে অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছিল। সেই সুযোগে পালিয়ে যায় সে। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।