নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যে আবাস যোজনার তালিকায় এক বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর নাম ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে বাঁকুড়ায়। তৃণমূলও বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা ‘প্রভাব খাটানো’র অভিযোগ তুলেছে। যদিও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বাকুঁড়ার সোনামুখী ব্লকের সেই বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন তাঁর স্ত্রী।
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যা রিপোর্ট এসেছে, তার ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’
দিবাকরের বাড়ি সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নহবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত পলশুড়া গ্রামে। বিধায়কের নিজের পাকা বাড়িও রয়েছে। তা সত্ত্বেও দিবাকরের স্ত্রী প্রতিমা ঘরামির নাম কী করে উঠল তালিকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকায়। দিবাকরের অবশ্য বক্তব্য, তালিকায় স্ত্রীর নাম তোলানোতে তাঁর কোনও হাত নেই। ২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়, তখন তাঁর পাকা বাড়ি ছিল না। তখন বিধায়কও ছিলেন না দিবাকর। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়েছিল, তখন আমার পাকা বাড়ি ছিল না। তখন আমি বিধায়কও ছিলাম না। আমি বা আমার পরিবার কোনও দিন আবাস যোজনার জন্য আবেদনও করিনি। তালিকায় তাঁর নাম আছে দেখে আমার স্ত্রী নিজেই জেলাশাসককে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য। তৃণমূল এই বিষয়টিকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।’’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, দিবাকরের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন। তথ্য গোপন করেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সোমনাথের। বিজেপিকে কটাক্ষ করে । তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘চোরের মায়ের বড় গলা।’’