নবাগতদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
দলের এক নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল কংগ্রেস। রবিবার ঝালদা ২ ব্লকের হিরাপুর-আদারডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের আলতা কুমারের স্বামী শরৎ কুমারের সঙ্গে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন জন পঞ্চায়েত সদস্য এলাকার বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল ভবনে ওই দলবদল হয়। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।
ঝালদা ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা দীপক সিং জানান, যোগদানকারী ওই তিন সদস্য হলেন প্রবীর মাহাতো, রূপচাঁদ মাহাতো এবং বৈদ্যনাথ গড়াইত। প্রবীরবাবু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হন। রূপচাঁদ নির্দল এবং বৈদ্যনাথ বিজেপি থেকে নির্বাচিত হন। তবে পরবর্তীকালে শেষোক্ত দু’জনেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। এ ব্যাপারে ঝালদা ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ফণিভূষণ কুমারের দাবি, ‘‘এ রকম একটা কিছু হয়েছে বলে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’ তবে নির্দল এবং বিজেপি থেকে নির্বাচিত ওই দুই সদস্য যে তাঁদের দলে যোগ দিয়েছিলেন, সে কথা স্বীকার করে নেন ফণিভূষণবাবু। তবে কংগ্রেস যে ওই পঞ্চায়েত থেকে ক্ষমতা হারাতে চলেছে, তা মানতে চাননি তিনি। তাঁর সংযোজন: ‘‘এখনও অনেক কিছু ঘটা বাকি রয়েছে।’’
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩টি আসনের ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস পায় সাতটি এবং সিপিএম ও তৃণমূল দু’টি করে। নির্দল ও বিজেপির দখলে যায় একটি করে আসন। একক ক্ষমতায় ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। প্রধান হন কংগ্রেসের আলতা কুমার। উপপ্রধান হন ওই দলেরই অলকা মাহাতো। রবিবারের ওই দলবদলের পরে স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।