BJP

হেনস্থার নালিশ, অফিস ঘেরাও

খবর চাউর হতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা দলে দলে হাজির হন ব্লক অফিসে। ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে কয়েকটি থানার ওসি ও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁতুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
Share:

তপ্ত: সাঁতুড়ি ব্লক দফতর চত্বরে বিজেপির বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

উন্নয়নের কাজে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরুলিয়ার তৃণমূল পরিচালিত সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিজেপি। অভিযোগ, সেই সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমিতির প্রাক্তন সহসভাপতি গিয়ে বিজেপির দু’জন মহিলা জনপ্রতিনিধিকে হেনস্থা করেন। ঘটনায় সোমবার দুপুর থেকে শতাধিক বিজেপি কর্মী ব্লক অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে সন্ধ্যায় অবরোধ তুলেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর ১২ টা নাগাদ। সাঁতুড়ি ব্লক পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে ৮২ লক্ষ টাকা পেয়েছে। সে টাকা খরচ নিয়ে এ দিন সাধারণ সভা ছিল। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতি বৈঠক করে পুরো টাকাই তৃণমূল পরিচালিত বালিতোড়া পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহসভাপতি অসীম চট্টোপাধ্যায়ের এলাকা কাকুড়কেয়ারি গ্রামে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এ দিনের সভায় জানা যায়। বিজেপির সাঁতুড়ির মণ্ডল সভাপতি অরূপ আচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিকে বাদ দিয়ে শুধু তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এলাকায় সমস্ত টাকা খরচ হচ্ছে। এটা দেখার পরেই, আমাদের পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা সভা বয়কট করে ব্লকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন।”

অরূপবাবুর অভিযোগ, সেই সময়ে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহসভাপতি বিধুভূষণ শান্তিকারি গিয়ে সমিতির বিজেপি সদস্যা মমতা টুডু ও টাড়াবাড়ি পঞ্চয়েতের বিজেপির প্রধান শান্তি মুর্মুকে হেনস্থা করেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের ওই নেতাকে গ্রেফতার করার দাবিতেই আমাদের কর্মীরা অবস্থানে বসেছিলেন।”

Advertisement

খবর চাউর হতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা দলে দলে হাজির হন ব্লক অফিসে। ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে কয়েকটি থানার ওসি ও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনার মাধ্যমে সন্ধ্যার পরে, অবরোধ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

তৃণমূলের সাঁতুড়ি ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘বিজেপি কর্মীরা ব্লকের গেট বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান করছিলেন। বিধুভূষণ তাঁদের গেট খোলা রেখে আন্দোলন করার কথা বলতে গেলে তাঁর উপরেই ওরা চড়াও হয়।’’ বিধুভূষণও বলেন, ‘‘ব্লক অফিস সাধারণ মানুষের কাজের জায়গা। গেট আটকে রাখায় তা বিঘ্নিত হচ্ছিল। সে কথা বলতে গেলে আমার উপরেই ওরা চড়াও হয়েছিল।’’

সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের রীনা লায়েক বলেন, ‘‘অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠক করে টাড়াবাড়ি, মুরাড্ডি, গড়শিকা ও বালিতোড়া পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। যে সমস্ত এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল বা নিকাশির সমস্যা সব থেকে বেশি, সেগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বৈঠকে বিজেপির বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হলেও তিনি আসেননি।” যদিও বিরোধী দলনেতাকে বৈঠকে ডাকাই হয়নি বলে অভিযোগ অরূপবাবুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement