রামপুরহাট থানার বনহাট গ্রামের জঙ্গলে আম্বুবাচি পুজোর ভীড়। — নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে, গ্রামের হিন্দু মহিলারা পুজোয় ব্যস্ত। নাচছেন আদিবাসী মেয়েরা। অন্য দিকে, সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যেরা হাজার ছয়েক লোকের পঙ্ক্তি ভোজনের আয়োজনে ব্যস্ত। শুক্রবার এমন মেলবন্ধনের ছবি দেখা গেল রামপুরহাট থানার বনহাট গ্রাম লাগোয়া ব্যাঘ্রচণ্ডীর পুজোয়।
ব্যাঘ্রচণ্ডী উৎসব কমিটির সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জহিরুল ইসলাম, রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি পান্থ দাস প্রমুখ। শাল, মহুল, শিশু গাছে ঘেরা এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে । এর জন্য শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিল অর্থ বরাদ্দা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা উন্নয়ন খাতে সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি, সংস্কার হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন পোড়া ইটের থানটিও। বসেছে মার্বেল পাথর, টাইলস। মন্দিরে বসেছে মার্বেল পাথরের চণ্ডী মূর্তি।
বনহাট গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘নিত্যপুজোর পাশাপাশি, অম্বুবাচির সময়ে বাৎসরিক উৎসব হয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষ যোগ দেন। এ বছর নতুন একটি শিবমন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আয়োজিত পঙ্ক্তি ভোজে সব ধর্মের মানুষ অংশ নিয়েছেন।’’