Industrialization

শিল্পের দাবিতে ফের সরব চাষিরা

এ বার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে শিবপুর জমিদাতা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের পোস্টার ঘিরে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৮
Share:

—প্রতীকী ছবি

মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে শিল্পের দাবিতে আবারও শিবপুর এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হল। আর সেই পোস্টার ঘিরেই এলাকায় নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্প করার দাবিতে শনিবার ফের শিবপুর জমিহারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের নামে শতাধিক পোস্টার পড়ে শিবপুর মৌজার একাধিক জায়গায়।

Advertisement

পোস্টারগুলিতে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বভারতীর পাশেই বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর নামে কবিগুরুর স্বপ্নের অপমান মানছি না, শিল্পের নামে প্রোমোটারি চালানো দুর্নীতিবাজ সরকার চাই না, চাষির বুকের উপর বানানো পাঁচিল ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি। স্লোগানগুলি বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, গীতবিতান আবাসনের দেওয়ালে, কাশীপুর, নুরপুর, বোলপুর বাইপাস, শিবতলার রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং বোলপুর মহকুমাশাসকের দফতরের সামনেও লাগানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবারও শিল্পের দাবিতে তাঁরা সোচ্চার হয়েছিলেন এবং পথে নেমেছিলেন। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে শিবপুর জমিদাতা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের পোস্টার ঘিরে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বামফ্রন্টের সরকার থাকাকালীন শিবপুর মৌজার প্রায় ৩০০ একর কৃষিজমি শিল্পের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। কয়েকজন কৃষক ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন, আবার অনেক কৃষক সেই সময় ক্ষতিপূরণ নেননি। জমিদাতা কৃষকদের অভিযোগ, সেই জমিতে আজ পর্যন্ত কোনও শিল্প হয়নি। তার পরিবর্তে বর্তমান রাজ্য সরকার সেখানে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, গীতবিতান আবাসন প্রকল্প, ক্ষুদ্র শিল্পের বাজার এবং আইটি হাব তৈরি করেছে। বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষের দিকে।

কিন্তু শিল্পের জন্য অধিকৃত জমিতে শিল্পই চান কৃষকেরা। এই দাবিতে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে শিবপুরের জমিদাতা কৃষকদের। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়নি।

এই বিষয়ে কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের প্রতিনিধি মির্জা জসিমউদ্দিন বলেন, “কৃষকদের কাছ থেকে শিল্পের নামে জমি নেওয়া হয়েছিল, তাই কৃষকেরা সেই জমিতে শিল্পই চান এবং কর্মসংস্থানও চান, না হলে সরকারকে সেই জমি চাষযোগ্য করে কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এর জন্য আমরা লাগাতার আন্দোলন করে আসছি। আমরা চাই এবার মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন, না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement