শিশুকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।
নিজের শিশুকেই তুলে আছাড় মারলেন বাবা! গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার ডুরকু গ্রামে। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে টামনা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম সরকার রুইদাস। তার বয়স মাত্র তিন মাস। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে তাঁর মা স্তন্যপান করাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই বাচ্চাটিকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে মেঝেতে আছাড় মারে বাবা সাগর রুইদাস। এমনকি, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েও তার পা মুচড়ে দেন বাবা। কী কারণে তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিশুর মা নেহারি রুইদাস বলেন, ‘‘বাচ্চাটিকে স্তন্যপান করাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ আমার স্বামী বাচ্চাটিকে আমার কাছ থেকে তুলে নিয়ে আছাড় মারে।’’
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ তাঁর সন্ধান করছে। অভিযুক্তের শ্যালক জানান, এক বছর আগে তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে। এটিই দিদির প্রথম সন্তান। তাঁর কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে জামাইবাবু ফোন করে বলে, তোমার দিদিকে আর ওর সন্তানকে কেটে নদীর জলে ভাসিয়ে দেব।’’ এই কথা শুনে চমক যান তিনি। তড়িঘড়ি দিদির শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যায়। সেখান থেকে দিদি ও ভাগ্নেকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু জামাইবাবু তাদের আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এর পর হঠাৎই দিদির কোল থেকে বাচ্চাটিকে ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় মারেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ভাগ্নেকে টোটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন টোটোতে উঠে বাচ্চার পা মুচড়ে দেয় বাবা।
শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।