বক্রেশ্বরের নীলনির্জনে চলছে পাখি সুমারি। শনিবার দুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের বিভিন্ন জলাশয়ে শীতকালীন পাখি গণনার কাজ শুরু হল শনিবার থেকে। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নীল নির্জন জলাধারে এ দিন পাখি সুমারি করতে দেখা গেল কলকাতা থেকে আসা ‘প্রকৃতি সংসদ’ নামক একটি সংস্থাকে। ‘স্পটিংস্কোপ’ ‘বাইনোকুলার’ স্ট্যান্ড বা ‘ট্রাইপড’-এর সঙ্গে খাতা কলম নিয়ে হাজির ছিলেন সংস্থার পাঁচ সদস্য।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের জলাশয়গুলিতে শীতকালীন পাখি গণনার কাজে পক্ষীপ্রেমী, প্রকৃতি প্রেমী বা পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে এমন ব্যক্তি ও সংস্থার সাহায্য ২০২১ সালে আহ্বান করেছিল বন দফতর। উদ্দেশ্য ছিল, পাখি সংরক্ষণের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি। তার পর থেকে ততটা জোরালো ভাবে কাজ না হলেও কলকাতার ওই সংস্থার সদস্যেরা ফি-বছর পাখি সুমারি করতে বীরভূমে আসেন। তাঁরা এ দিনই নীলনির্জন ও সিউড়ির তিলপাড়া জলাধারে পাখি গণনা করেছেন। রবিবার পাখি সুমারি করবেন বোলপুরের বল্লভপুর অভয়ারণ্যে থাকা জলাশয়গুলিতে।
এ দিন নীল নির্জন জলাধারে পাখি সুমারির নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য তথা এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের রাজ্য কো-অর্ডিনেটর রূদ্রপ্রসাদ দাস। সঙ্গী ছিলেন অনিন্দিতা দাস রায়, অংশুমান রাহা, জয়ন্ত খাড়া ও মৈত্রেয়ী দাস। রূদ্রপ্রসাদ জানান, এ বছর নীল নির্জনে পাখি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।
শীতের এই সময়টায়, আমেরিকা, রাশিয়া-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, মানস সরোবর থেকে ভারতে উড়ে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। রাজ্যের বিভিন্ন জলাশায়ের পাশাপাশি বীরভূমেও বেশ কিছু আস্তানা রয়েছে পরিযায়ী পাখিদের। সেখানে অবশ্য অনেক দেশজ জলজ পাখিও। তাদের সঠিক সংখ্যা কত জানতে জানতেই হয় পাখি সুমারি। এ বছর নীলনির্জনে পিকনিক নিয়ন্ত্রিত, বাজেনি ডিজে বক্স। প্রশাসনের তরফে পরিয়াযীদের বিরক্ত না-করার বিষয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। তার পরেও কেন পাখির সংখ্যা কম, সেটাই ভাবাচ্ছে পাখি প্রেমীদের।