সাড়ম্বরে পালিত যুব দিবস

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হল দুই জেলায়। তারই মধ্যে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের মিউজিয়ামের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানালেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষে ‘জাতীয় যুব দিবসে’ এ কথা জানান তিনি। বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ জানান, ‘‘আমাদের মিউজিয়ামটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৬
Share:

জয়রামবাটির মাতৃ মন্দিরে অনুষ্ঠান। —নিজস্ব িচত্র।

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হল দুই জেলায়। তারই মধ্যে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের মিউজিয়ামের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানালেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষে ‘জাতীয় যুব দিবসে’ এ কথা জানান তিনি। বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ জানান, ‘‘আমাদের মিউজিয়ামটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। শান্তিরামবাবুকে এ জন্য ধন্যবাদ।’’

Advertisement

এ দিন কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই স্বামীজির ছবি নিয়ে দুই জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাতফেরি হয়েছে। দিনভর নানা অনুষ্ঠানেও ছাত্রছাত্রী থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন যোগ দিয়েছেন। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের স্বদেশ বেদিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্যারেড করে ‘বিবেক বাহিনী’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের সংখ্যাতত্ত্বের বিভাগীয় প্রধান জীবন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ, প্রধান শিক্ষক স্বামী গতিদানন্দ প্রমুখ।

পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে বাগদার রামকৃষ্ণ মঠ পরিচালিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। স্বামীজিকে নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সফল উত্তরদাতাদের স্বামীজি ও ভগিনী নিবেদিতার ছবি ও বইপত্র তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অনির্বাণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

জয়রামবাটির মাতৃমন্দিরে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ছিলেন মাতৃমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ-সহ বিশিষ্টজনেরা। বাঁকুড়া পুরসভার তরফে শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠান হয়। কাটজুড়িডাঙা বিবেকানন্দ সেবা সমিতি আলোচনাসভা করে। গঙ্গাজলঘাটির রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভা হয়। ছিলেন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ।

পাড়ার সুরুলিয়াতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিবেকানন্দের জীবন ও বাণী নিয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা হয়। পুরুলিয়া ২ ব্লকের কুস্তাউরে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান পাঠ্যপুস্তক বিলি করে। পুরুলিয়ার নব কিশলয় সঙ্ঘও অনুষ্ঠান করে। রঘুনাথপুর বিবেকানন্দ পাঠচক্র পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা প্রভাতফেরি করে। বাসস্ট্যান্ডে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন পুনুড়া রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী স্বামী ভাস্করানন্দ। রঘুনাথপুর সুধামণি স্মৃতি বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান হয়। পুরুলিয়ার শিল্পাশ্রমেও নানা অনুষ্ঠান হয়। ইয়ং ইন্ডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে বিবেকানন্দের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ডিওয়াইএফ আদ্রায় রক্তদান শিবির ও বলরামপুরের দঁড়দাতে ফুটবল ম্যাচ করে বলে জানান, সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক ত্রিদিব চৌধুরী। মানবাজারের স্বপন সুব্রত হাইস্কুলের পড়ুয়ারা শোভাযাত্রা করে। কেন্দার বালকডি হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক তাপসকুমার মাহাতো জানান, স্কুল চত্বরে স্বামীজির মূর্তির উন্মোচন হয়েছে। বরাবাজার থানার লাকা প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াও গ্রামে শোভাযাত্রা করে। জাতীয় সম্মানে ভূষিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরৎচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা ব্রতচারী নৃত্য, নাটক, স্বামীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা ও গান পরিবেশন করে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement