Cattle Smuggling Scam

সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্ট কার? খতিয়ে দেখতে বিশেষ দল গড়ল সিবিআই

৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু প্রকাশ্যে আসে, বেনামে কমপক্ষে ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ওই ব্যাঙ্কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৯
Share:

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ১০ কোটিরও বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে। ফাইল চিত্র ।

বীরভূমের সিউড়ির সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (সমবায় ব্যাঙ্ক)-এর ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্ট বৃহস্পতিবার ‘ফ্রিজ’ করেছিল সিবিআই। সেই অ্যাকাউন্টগুলিই খতিয়ে দেখতে বিশেষ দল গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কার নামে, কখন এবং কী উদ্দেশ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল, তা-ও তদন্ত করে দেখবেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, এই অ্যাকাউন্টগুলি যাঁদের নামে রয়েছে, তাঁরা কারা, তা-ও যাচাই করে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ১০ কোটিরও বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে।

Advertisement

সিবিআই তদন্তকারীদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতেই ব্যবহার করা হত ওই অ্যাকাউন্টগুলি। পাশাপাশি, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বা শাসকদলের অন্য কোনও নেতার যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ঘটনাচক্রে, ওই সমবায় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি।

প্রসঙ্গত, ৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু তদন্তে প্রকাশ পায় যে বেনামে মোট ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ওই ব্যাঙ্কে।

Advertisement

তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা আরও জানতে পারেন, ওই ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তা নির্দিষ্ট এক জনের সইয়ের মাধ্যমে হয়েছে। তবে কে সইগুলি করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট করেননি সিবিআই আধিকারিকরা। সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেওয়ার পর বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ধমকও দেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের সব লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সিবিআই আধিকারিকরা এই অনুমানও করছেন যে, কৃষকদের থেকে অল্প দামে ধান কিনে তা চালকলগুলিতে চাল করার পর রাজ্যের খাদ্য দফতরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, খাদ্য দফতরের থেকে পাওয়া চেক ওই বেনামি অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement