পদ বাঁচাতে শম্পা এ বার হাইকোর্টে

একাধারে বিধায়ক, অন্য দিকে কাউন্সিলর। তবে দু’টি পদ রয়েছে দু’টি দলে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বাঁকুড়ার বিধায়ক হয়েছেন, আর তৃণমূলের টিকিটে জিতে পেয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলর পদ। এই পরিস্থিতিতে মহকুমাশাসকের কাছে জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী শম্পা দরিপার কাউন্সিলর পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৬ ০৬:২৯
Share:

একাধারে বিধায়ক, অন্য দিকে কাউন্সিলর। তবে দু’টি পদ রয়েছে দু’টি দলে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বাঁকুড়ার বিধায়ক হয়েছেন, আর তৃণমূলের টিকিটে জিতে পেয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলর পদ।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে মহকুমাশাসকের কাছে জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী শম্পা দরিপার কাউন্সিলর পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর পদ বাঁচাতে এ বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শম্পাদেবী। সোমবারই হাইকোর্টে এ নিয়ে পিটিশন ফাইল করেছেন তিনি।

কেন?

Advertisement

শম্পাদেবীর যুক্তি, “দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি দল ছাড়িনি। তাই রাজ্য পুর আইনের ২১ বি ধারা অনুসারে দল বিরোধী আইন আমার বিরুদ্ধে খাটে না। তাই হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছি।”

ঘটনা হল, বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠক করে শম্পাদেবীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপরই শম্পাদেবীকে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী করে কংগ্রেস। কিন্তু, কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেননি শম্পাদেবী। এই আবহে দলবিরোধী আইনে শম্পাদেবীর কাউন্সিলার পদ খারিজের আবেদন করেন মহাপ্রসাদবাবু।

তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, শম্পাদেবীকে মৌখিক ভাবে সাসপেন্ড করা হলেও তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। তাই কাউন্সিলর পদ ছাড়তেই হবে। মহাপ্রসাদবাবুর সাফ জবাব, “উনি যখন আইনের পথে গিয়েছেন, আমরাও সে পথে লড়ব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement