Calcutta High Court

বিশ্বভারতীর বেতন-নির্দেশে স্থগিতাদেশ

ওই শিক্ষিকার আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং পুষ্পল চক্রবর্তী জানান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শমীক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০০:৪৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের এক শিক্ষিকার বেতনের চারটি ‘ইনক্রিমেন্ট’ বা বর্ধিত ভাতা কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপরে সোমবার স্থগিতাদেশ জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি।

Advertisement

ওই শিক্ষিকার আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং পুষ্পল চক্রবর্তী জানান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালেই বিশ্বভারতীর শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। সেই সময় তিনি পাঁচটি বর্ধিত ভাতার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে চারটি বর্ধিত ভাতা বা ‘ইনক্রিমেন্ট’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়।

আইনজীবীরা জানান, এ বছর ১০ জুন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪ সাল থেকে ওই শিক্ষিকাকে যে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়া হয়েছে, তা কেটে নেওয়া হবে। তার জেরে ১২ জুন নির্দেশ জারি করেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর যুগ্ম রেজিস্ট্রার (অ্যাকাউন্টস) ওই শিক্ষিকাকে চিঠি দিয়ে জানান, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ওই চারটি বর্ধিত ভাতা বাবদ মোট ১৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৩৮ টাকা পরবর্তী ৩৬ মাস ধরে সমান মাসিক কিস্তিতে কেটে নেওয়া হবে।

Advertisement

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শিক্ষিকা। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে তাঁর বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেননি। তা ছাড়া কোনও শুনানি না করেই বর্ধিত বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এটা ‘অমানবিক’। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ চান শিক্ষিকার আইনজীবীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান, বিচারপতি বর্ধিত বেতন কেটে নেওয়ার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তিন সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাতে হবে। শিক্ষিকাকে পাল্টা হলফনামা জমা দিতে হবে তার এক সপ্তাহের মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement