Fire

কারখানায় আগুন, ভয় বড়জোড়ায়

কারখানা সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে কাজ চলাকালীনই হঠাৎ আগুন লাগে কারখানার একটি ট্রান্সফর্মারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বড়জোড়া শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২১ ০৫:৫১
Share:

লেলিহান: ঘুটগোড়িয়ার সেই ইস্পাত কারখানা। নিজস্ব চিত্র।

আগুন লাগল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘুটগোড়িয়ার একটি ইস্পাত কারখানায়। বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

কারখানা সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে কাজ চলাকালীনই হঠাৎ আগুন লাগে কারখানার একটি ট্রান্সফর্মারে। লেলিহান শিখা অন্য ভবনের দিকে ছড়িয়ে পড়লেও দমকলের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজিত মেহতা জানান, আগুন লাগার পরে, শ্রমিকেরা দ্রুত কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যান। অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার জন্য কিছু শ্রমিককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া আছে। তাঁরা এগিয়ে গিয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। তবে ততক্ষণে আগুন বড় আকার নিয়েছিল। দুর্গাপুর দমকল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্রুত দু’টি ইঞ্জিন সেখান থেকে পাঠানো হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে ওই কারখানায় যান বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ প্রমুখ। তাঁরা বলেন, ‘‘কালো ধোঁয়া গোটা বড়জোড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে মানুষজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। তবে দমকলের ইঞ্জিন দ্রুত কাজ শুরু করায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।”

Advertisement

এই অগ্নিকাণ্ডের পরে, বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে দমকলকেন্দ্র গড়ার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। ‘বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর (শিল্প) সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরকারের দাবি, এর আগেও বহু বার বড়জোড়ার নানা কল-কারখানায় আগুন লেগেছে। এমন ক্ষেত্রে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া ও এমটিপিএসের দমকলকেন্দ্রের উপরেই ভরসা করতে হয়। এমটিপিএস ও বাঁকুড়ার দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব যথাক্রমে কমপক্ষে ২২ কিলোমটার ও ৩৫ কিলোমিটার। দুর্গাপুর কাছাকাছি হলেও ব্যারাজে যানজট থাকলে দমকলের গাড়ি আসতে অনেকটাই দেরি হয়। প্রবীরবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বছর চারেক আগে আমরা বড়জোড়ায় একটি দমকলকেন্দ্র গড়ার দাবি জানিয়েছিলাম। স্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়তে সমস্যা থাকলে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি ইঞ্জিন অস্থায়ী ভাবেও যদি বড়জোড়ায় রাখা যায়, তাতে অনেকটা সুরাহা হয়।” বিধায়ক অলকবাবু বলেন, “বড়জোড়ায় দমকলকেন্দ্র গড়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। আমি এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। দ্রুত যাতে এখানে দমকলকেন্দ্র গড়া যায়, তার জন্য যা করার আমি করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement