শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। — ফাইল চিত্র।
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে সব মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। সোমবার ইন্দাসে তৃণমূলের সভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যদিও বিরোধীদের দাবি, ওই পরিসংখ্যান দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার সত্যিটা চাপা পড়বে না।
সোমবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ইন্দাসের বামনিয়া হাটতলা এবং ইন্দাস সুপারমার্কেটে সভা করেন ব্রাত্য। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন সিপিএমের আমলে ক’টা মনোনয়ন তৃণমূল জমা করতে পেরেছে। এখন দু’-এক জায়গায় সমস্যা হয়েছে। একটা দু’টো ঘটনাকে বড় করে দেখানো হয়েছে।’’
তিনি দাবি করেন, এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে (বিজেপির দুই সাংসদ, বিধায়কও বেশি)। তাতে ইন্দাসের মানুষের কী লাভ হয়েছে? রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলির মতো কোনও প্রকল্প বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নেই।
যদিও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অসীম দাস দাবি করেন, ‘‘বাম আমলে তৃণমূল, বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল। সব পঞ্চায়েতে ভোট হত। এ বার সন্ত্রাসের কারণেই ইন্দাসের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে শুধু শাসপুর, মঙ্গলপুর, রোলে গুটিকয়েক আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি আমরা। মানুষের রায় নিতে তৃণমূল ভয় পায়।’’
বিজেপির ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়ার দাবি, ‘‘তৃণমূল যদি এতই উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে ব্যারিকেড করে বিরোধীদের মনোনয়ন আটকাল কেন? সুযোগ পেলেই মানুষ জবাব দেবেন।’’ মনোনয়ন আটকানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।