ছাউনি ঢেকে রাখা। নিজস্ব চিত্র ।
প্রশাসন ত্রাণ শিবিরে যেতে বলেছে বারবার। কিন্তু সরকারি প্রকল্পের পাকা বাড়ি না পাওয়ায় ক্ষোভে ভাঙা বাড়িতেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিনগোড়ার কিছু বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে বৃদ্ধা জ্যোৎস্না লোহারের দাবি, ৩০ বছর ধরে ভাঙা ঘরে রয়েছেন তিনি। বয়স হওয়ায় কাজ করতে পারেন না। ছেলেরা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেতে বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। দুয়ারে সরকার চলার সময়েও আবেদন জমা দিয়েছি। বিধবা ভাতাও মেলেনি।”
ওই এলাকায় ৫০-৬০টি পরিবার বসবাস করে। প্রায় সবাই দিন মজুর। তাঁদের মধ্যে সুচি কড়ি, কেশব বসু, বসন দাসের দাবি, রেলের জায়গায় বসবাস করলেও কিছু কিছু জমি কিনে রেখেছেন। তবে সংসার চালিয়ে বাড়ি করার মতো সঞ্চয় হয়নি। বৃদ্ধা ঊষা বসু বলেন, “চলার শক্তি হারিয়েছি। তবু মাঠে শৌচ করতে যেতে হয়। ভাঙা বাড়িতেই দিন কাটছে। সারা বছর কষ্ট করেই কাটিয়েছি। ঝড়ের জন্য কয়েকটা দিন সুখ ভোগ করে লাভ কি?’’
বিষ্ণুপুরের পুরপ্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুনেছি, রেলের জায়গায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য বেশ কিছু মানুষ আবাস যোজনার সুবিধে পাননি। করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মিটলে বিশদে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’