Birbhum

মা বকেছিলেন বলে বাড়ি ছেড়েছিল খুদে, চার দিন পর ছেলের নিথর দেহ পেয়ে হাহাকার দম্পতির

রাতেও না ঘরে ফেরায় ছেলেকে তন্ন তন্ন করে খোঁজেন পরিবারের লোকজন। নিখোঁজের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৪
Share:

দুষ্টুমি করায় মা বকাবকি করেছিলেন। অভিমানে বাড়ির বাইরে ঘুরছিল ছেলে। কিছু ক্ষণ পর মা তাকে স্নানে যেতে বলেন। কিন্তু পুকুরের দিকে বেরিয়ে আর ফেরেনি খুদে। চার দিন পর তার নিথর দেহ উদ্ধার হল বাড়ির পাশের রাস্তার ধারে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়েছিল নাবালক। রবিবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের নলহাটিতে। পুত্রহারা বাবার অভিযোগ, ছেলেকে কেউ খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ ডিসেম্বর ছেলেকে বকাবকি করেছিলেন মা। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিল নলহাটি থানার ভেলিয়ান গ্রামের ওই খুদে। ওই দিন রাতেও না ঘরে ফেরায় তাকে তন্ন তন্ন করে খোঁজেন পরিবারের লোকজন। নিখোঁজ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তার পরেও ছেলেটিকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে গলায় দাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ির কাছে একটি গাছের তলায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই খুদেকে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বালকের পরিবারের অভিযোগ, কেউ ছেলেকে খুন করেছে। না হলে চার দিন পরে কী ভাবে বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে তাকে পাওয়া গেল? ওই জায়গাগুলিতে আগেও তার খোঁজ করা হয়েছে। মৃতের বাবার কথায়, ‘‘ছেলেকে শাসন করেছিল ওর মা। রাগ করে বাইরে ঘুরছিল ও। ওর মা ওকে স্নান করে আসতে বলেছিল। তার পর আর খোঁজ পাইনি ছেলের।’’

Advertisement

একটু থেমে প্রৌঢ় আরও বলেন, ‘‘ব্যাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ওর বন্ধুবান্ধবের কাছে খোঁজ নিলাম। কিন্তু কেউ কোনও খোঁজ দিতে পারল না। কত জায়গায় খোঁজ নিলাম! কোথাও না পেয়ে এলাকার বিধায়ককে নিয়ে থানায় গেলাম। তার পর রবিবার সকালে রাস্তার সামনে ওর দেহ পাওয়া গেল।’’ তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। কারণ, ওই জায়গায় তাঁরা ছেলেকে খুঁজেছেন আগেই। ‘‘চার-পাঁচ দিন ও ছিল কোথায়? দেখে মনে হচ্ছে কেউ ওকে...’’ আর কথা শেষ করতে পারলেন পুত্রহারা বাবা। ডুকরে কেঁদে উঠলেন তিনি। রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement