চিহ্ন: বাড়ির দেওয়ালে বোমার দাগ। শুক্রবার যজ্ঞনগরে। নিজস্ব চিত্র
ফের উত্তপ্ত নানুর। বৃহস্পতিবার রাতে বাহিরি-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের যজ্ঞনগর গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি ও বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বোলপুর থানার নানুর বিধানসভার অন্তর্গত যজ্ঞনগর গ্রামের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড কেন পাচ্ছেন না, এ বিষয়ে স্থানীয় বাহিরি-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এরপরেই যাঁরা পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন, তাঁদের স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীর অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে না যাওয়ার কারণে যাঁরা পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন রাতের বেলায় তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও মারধর করা হয়।
শুক্রবার সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, চারদিকে থমথমে ভাব। এ দিকে, ও দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া বোমার টুকরো, সুতুলি। মতিউর রহমান, শেখ সহিফুল রহমানের বাড়ি সহ বেশ কয়েক জনের বাড়িতে বোমা মারার দাগও স্পষ্ট। গ্রামের রাস্তার চারপাশে অজস্র ভাঙা ইটের টুকরো পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসীর চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে হামলার পিছনে দলের যোগ থাকার কথা মানতে চাননি বাহিরি-পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু। তাঁর দাবি, ‘‘গ্রামে শান্তিপূর্ণ
পরিবেশ রয়েছে। বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী গ্রাম অশান্ত করার জন্য এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে।’’
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল এখন আতঙ্কে ভুগছে। তাই সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড কবে পাবে জানতে গেলেও বেছে বেছে তাঁদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা করা হচ্ছে। বেশ কয়েক জন বিজেপি সমর্থকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি প্রশাসনকে দেখবার জন্য বলেছি।’’