প্রতীকী ছবি।
গ্রামের যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা। মেয়ের বিয়েও দিয়েছিলেন অন্যত্র। কিন্তু বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে আসা মেয়ের ‘কীর্তি’তে স্তম্ভিত বীরভূমের যজ্ঞনগর গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে পালানো সময় চারচাকা গাড়িতে পিষে মেরেছেন নিজের বাবাকেই! সেই ঘটনায় সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সফিকুল শেখকে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ঘটনার পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই যুবক-যুবতী বীরভূমের নানুরের নতুনহাট গ্রামে গিয়েছেন। এর পর গভীর রাতে সেখান থেকেই সফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় প্রেমিকা কুতুবা খাতুনকেও। তাঁকে শান্তিনিকেতন মহিলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, সফিকুলের বাবা, মা ও ভাইয়ের এখনও খোঁজ মেলেনি। সফিকুলের এক বন্ধুকেও খুঁজছে পুলিশ। তিনিও বেপাত্তা। মঙ্গলবার সফিকুলকে বোলপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হল পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
সোমবার সফিকুলের গাড়িতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কুতুবার বাবা কুদ্দুস শেখের। সেই সময় গাড়িতে কুতুবাও ছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন কুদ্দুস। কিন্তু গাড়ি থামাননি যুগল। প্রৌঢ়কে চাপা দিয়েই চলে যান তাঁরা। এই ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় কুদ্দুসকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমানের হাসপাতালেও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করেন বর্ধমানের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
গ্রামবাসীরা জানান, কুদ্দুসের মেয়ে কুতুবা খাতুন গ্রামের গাজু শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করতেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেননি কুদ্দুস। অন্য জায়গায় সম্বন্ধ দেখে মেয়ের বিয়েও দেন তিনি। বিয়ের সাত দিনের মাথায় মেয়ে নতুন স্বামীকে নিয়ে অষ্টমঙ্গলা করতে আসেন। অভিযোগ, সেই আবার গাজুর সঙ্গে কুতুবার যোগাযোগ হয় এবং তাঁরা পালানোর পরিকল্পনা করেন। গাজুই চারচাকা গিয়ে নিয়ে হাজির হন কুতুবার বাড়িতে। এর পর ওই গাড়িতে করেই দু’জনে পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়েই ওই ঘটনা ঘটে।