প্রতীকী ছবি।
বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু পুরুলিয়ায়। মানবাজার এলাকার ঘটনা। সোমবার সকালে কেন্দডি গ্রামের কাছে একটি ছোট নদীর পাড় থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। দলীয় নেতাকে তৃণমূলের লোকেরা খুন করেছে বলে দাবি বিজেপির। শাসক তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা। তিনি মানবাজার ২ ব্লকের হেঁসলা সংসদের কেন্দডি বুথে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পুকুর পাড়ে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে বোরো থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। পরিবারের দাবি, রবিবার বিকেলে নিজের বাড়ি থেকে বেরোন বঙ্কিম। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। রাত পর্যন্ত বিজেপি নেতা বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর করা শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাঁর হদিস মেলেনি। এর পর সোমবার সকালে নদীর ধারে বঙ্কিমকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা।
এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বঙ্কিম হাঁসদাকে খুন করা হয়েছে। এতে তৃণমূলের স্পষ্ট মদত রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের দলদাস হয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভয় দেখানো, মনোনয়ন প্রত্যাহার এ সব কাজে ব্যস্ত। স্বাভাবিক ভাবে পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমরা চাই দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল। তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি করে না। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাজার গরম করার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’’