শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লিতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
বিস্ফোরণে উড়ল গাড়ির একাংশ। গুরুতর জখম হলেন চালক। রবিবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটে শান্তিনিকেতন থানার রথীন্দ্রপল্লিতে। তবে ঠিক কী থেকে এই বিস্ফোরণ, স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক দলকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরুলের বাসিন্দা পেশায় জমির ল’ক্লার্ক মৃন্ময় রুদ্রের গাড়ি বেশির ভাগ দিন চালক মঙ্গল মুর্মুর কাছে থাকত। শনিবার রাতে গাড়ি রথীন্দ্রপল্লিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসের পিছনে একটি ফাঁকা জায়গায় পার্কিং করে বাড়ি চলে যান চালক। রবিবার সকালে গাড়ি স্টার্ট দিতেই পিছনের অংশে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন চালক মঙ্গল মুর্মু। গুরুতর আহত অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি অন্যত্র নিয়ে যায়।
গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, তা দেখতে এ দিন বম্ব স্কোয়াডের দল ঘটনাস্থলে আসে। যদিও গাড়িতে কী ভাবে বিস্ফোরণ হল তা নিয়ে দ্বন্দ্বে সকলেই। কারণ, বিস্ফোরণে গাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গাড়ি থেকে কোনও বারুদের গন্ধ বের হতে দেখা যায়নি। পো
ড়ার দাগও তেমন ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারাও আগে গাড়িটিকে ওই স্থানে দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অশোককুমার মেহেরা, কেশব গায়েনরা বলেন, ‘‘সকালে বিকট শব্দ শুনে বেরিয়ে এসে দেখি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা সকলেই আতঙ্কিত।’’
গাড়ির মালিক মৃন্ময় রুদ্রের অবশ্য দাবি, গাড়ির চালককে শনিবার একটি ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরতে দেওয়া হয়েছিল। চালক গ্যাস ভরার পরে সিলিন্ডারটি গাড়ি থেকে নামাতে কোনও ভাবে ভুলে যান। ডিকির মধ্যে থাকা সেই সিলিন্ডার ফেটেছে বলে তাঁর দাবি। যদিও একটি গ্যাস-ভর্তি ছোট সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় ওই স্থান থেকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেনি। তা হলে কী ভাবে বিস্ফোরণ হল? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। কী ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে, কী থেকে বিস্ফোরণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আমরা ফরেন্সিক টিমকে খবর দিয়েছি। তারা এসে তদন্ত না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’’