গুটিেয়: বিক্রি বন্ধ। সাজিয়ে রাখা বাজি বাক্সে ভরে ফেলছেন এক ব্যবসায়ী। বাঁকুড়ার চকবাজারে শনিবার। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
এক দিন আগেও প্রকাশ্যে পসরা সাজিয়ে বাঁকুড়া শহরে আতশবাজি বিক্রি হচ্ছিল। ছবিটা রাতারাতি বদলে গেল। শনিবার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে দেখা গিয়েছে, বাজির প্যাকেট বড় ড্রামে ভরে তালাবন্দি করে ফেলতে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই সুযোগে কালোবাজারি শুরু হয়েছে। তিরিশ টাকার রংমশালের প্যাকেট লুকিয়ে ষাট টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পুরুলিয়ায় বাজি বিক্রি শুরু হয় দীপাবলির দিন দু’য়েক আগে থেকে। এ দিন পুরুলিয়া ও ঝালদা শহরে বাজি কেনাবেচা রুখতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশ ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, ঝাড়খণ্ড থেকে পুরুলিয়া শহরের কিছু বাড়িতে সরাসরি বাজি পৌঁছে যায়। তা রোখাই এখন মূল চিন্তা পুলিশের। এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ জানান, ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ঝালদার তুলিন, জয়পুরের কাঁঠালটাঁড়ে নাকা তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।
বাঁকুড়া শহরের একাধিক বাসিন্দার দাবি, “দুর্গাপুজোর সময় ঠিক যে ভাবে লুকিয়ে চড়া দরে শব্দবাজি বিক্রি হয়, এ বার আতশবাজিও সেই ভাবেই বিক্রি হচ্ছে। দরও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।” বাঁকুড়া সদর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। লুকিয়ে বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, সে দিকেও আমরা খেয়াল রাখছি। এ ধরনের ঘটনা রুখতে পুলিশ সাদা পোশাকে ঘুরছে।”
বিষ্ণুপুরের দোকানগুলিতেও প্রকাশ্যে আতশবাজি বিক্রি হচ্ছে না। তবে লুকিয়ে চড়া দরে বাজি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সেখানেও। বিষ্ণুপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বাজি বিক্রি রুখতে আমরা কড়া নজর রাখছি।” খাতড়া মহকুমা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু গুমটিতে বাজি বিক্রি করা হয়। এ দিন সেখানে খোঁজ করে বাজি মেলেনি। এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, “প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা খবর রাখছি, কোথাও লুকিয়ে বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না।”