BJP protest

ভোট-অশান্তিতে গ্রেফতার বিজেপি কর্মী, বিক্ষোভ

বিজেপির খয়রাশোল ‘বি’ মণ্ডলের সভাপতি গণেশ ঘোষের দাবি ছিল, বাইরে থেকে লোক জুটিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছিল শাসকদল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ০৭:৩৯
Share:

পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বুধবার খয়রাশোলের থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।

ভোটের দিন অশান্তির ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল, বিজেপি দু’পক্ষই। ওই ঘটনায় এক দলীয় কর্মী গ্রেফতার হতেই পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বুধবার খয়রাশোলের থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির ঘটনাটি ঘটেছিল খয়রাশোলের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের জামরান্দ গ্রামে। সে দিন দুপুরে ছাপ্পা ভোট দেওয়া নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন জখম হন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক। ঘটনার জেরে ওই বুথে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুনর্নির্বাচন হয় ওই বুথে।

Advertisement

বিজেপির খয়রাশোল ‘বি’ মণ্ডলের সভাপতি গণেশ ঘোষের দাবি ছিল, বাইরে থেকে লোক জুটিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছিল শাসকদল। সেটা রুখতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা একই অভিযোগ করেছিলেন খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিনই গণেশ ঘোষ সহ বিজেপির বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে খয়রাশোল থানায় অভিযোগ জানায় শাসকদল। অন্য দিকে বিজেপির পক্ষ থেকে কাঞ্চন অধিকারী, তাঁর স্ত্রী আঁখি অধিকারী, তৃণমূল নেত্রী অসীমা ধীবর সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ থানায়।

Advertisement

বুধবার সকালে গণেশের তুতো দাদা তথা কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থী বচন পালের নির্বাচনী এজেন্ট আনন্দ ঘোষকে গ্রেফতার করার পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দীর দাবি, ‘‘এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? গ্রেফতার হলে দু’পক্ষের অভিযুক্তকেই করতে হবে। শাসকদলের হেভিওয়েটরা অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে বলেই কি তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে?’’ পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এ দিন সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১২টার কিছু পরে বিক্ষোভ থামে। তবে আশ্বাস অনুযায়ী কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, বিজেপির করা অভিযোগ অসম্পূর্ণ ছিল। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক পদক্ষেপ করবে পুলিশ। অন্য দিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন বলেন, ‘‘গোটা ঝামেলা বিজেপি ঘটিয়েছে। আমরা ত্রিসীমানায় ছিলাম না। গ্রেফতার করতে হলে তো কারণ লাগে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement