ক্ষোভ: পাত্রসায়রের হলুদবনি মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের কনভয়ে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার নানা থানা এলাকায় বিক্ষোভ-অবস্থান করল বিজেপি। কয়েকটি জায়গায় সাময়িক পথ অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভ-অবস্থান হয় বাঁকুড়ার নানা প্রান্তেও।
জেলার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এ দিন দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে হামলার খবর পাওয়ার পরে জেলায় দলের ৪৮টি মণ্ডলের সর্বত্রই বিক্ষোভ অবস্থান করা হয়। এর মধ্যে রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া শহর, ঝালদা, বলরামপুর, চেলিয়ামা, বাঘমুণ্ডি, নিতুড়িয়ার মতো কয়েকটি এলাকায় কিছু সময়ের জন্য রাস্তা অবরোধও করেন কর্মীরা। পাশাপাশি, মানবাজার বাসস্ট্যান্ড, বোরো ও পুঞ্চায় থানার সামনে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তবে সব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোনও গন্ডগোলের খবর মেলেনি।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে হামলা তাই কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালির পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি নিজেদের লোকজনদের দিয়েই এ সব ঘটিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।’’
বাঁকুড়ার নানা এলাকাতেও এ দিন বিজেপির আন্দোলনের জেরে পথ অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষজন। বাঁকুড়া শহরের ভৈরবস্থান, স্টেশনমোড়, মাচানতলায় পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। জেলা সদর বাঁকুড়ার পাশাপাশি, ছাতনায় বাঁকুড়া- শালতোড়া রাজ্য সড়কে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। খাতড়া মহকুমারও প্রায় প্রতিটি ব্লকে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সাময়িক পথ অবরোধ হয় হিড়বাঁধ বাজারে।
এ দিকে, ইঁদপুরের বাংলা বাজারে গোয়েঙ্কা স্কুল মোড়ে, পাত্রসায়রের হলুদবনি মোড়ে পাত্রসায়র-বিষ্ণুপুর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ চলে। বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ এলাকাতেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। পাত্রসায়রের কাঁকড়াশোল এলাকায় পথ অবরোধ করে বিজেপির যুব মোর্চা।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, “দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে জেলা জুড়েই এ দিন আন্দোলনে নেমেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।” যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, ‘‘এ সব বিজেপির নাটক। সাধারণ মানুষকে হয়রান করার চক্রান্ত।’’