সুভাষ সরকার এবং জেল সুপার সুদীপ বসু। — নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় পতাকা তুলে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এ অংশ নেওয়া হল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। শনিবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও নির্দেশিকা না থাকার ফলে তিনি জাতীয় পতাকা তুলতে পারেননি সেখানে। যদিও এ নিয়ে সুভাষের তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
শনিবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জাতীয় পতাকা তুলতে যান সুভাষ। তাঁর অভিযোগ, সেখানে তাঁকে পতাকা তুলতে দেওয়া হয়নি। এর পর মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সামনে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে সুভাষ বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ১৩ থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে দেশের উল্লেখযোগ্য জায়গায় ভারত সরকারের মন্ত্রীরা গিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। এটা একটি সরকারি অনুষ্ঠান। তা সত্ত্বেও কোনও নির্দেশিকা এই জেলে আসেনি। রাজ্য সরকার স্বাধীনতা উৎসব পালন নিয়ে নির্বিকার। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে গর্বের মূলে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের অশ্রদ্ধা করা হয়েছে। আমরা এটা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাব।’’
এ নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘ওঁর অভিযোগের সারবত্তা নেই। রাজ্যের তরফে ১৫ অগস্ট দিনটি পালন করা হবে।’’
এ নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সংশোধনাগার একটি মন্ত্রকের অধীনস্থ বিষয়। আপনি কি অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন? জেলে আমিও ঢুকতে পারি না। যত ক্ষণ আমি না অনুমতি নেব অথবা জেল কর্তৃপক্ষ দ্বারা আমন্ত্রিত হব, তত ক্ষণ আমি জেলে ঢুকতে পারি না। কারণ সংশোধনাগার একটি সংরক্ষিত এলাকা। আমি এখনই মনে করব ফোর্ট উইলিয়ামে গিয়ে একটা জাতীয় পতাকা তুলব, কর্তৃপক্ষ কি আমাকে ফোর্ট উইলিয়ামে জাতীয় পতাকা তুলতে অনুমতি দেবে? আপনাকে আগে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবেই আপনি ভেতরে যেতে পারবেন। জাতীয়তাবাদটা শুধু বিজেপির নয়, দেশটা আমাদের সকলের। আমি ভারতে জন্মেছি। যতটা সুভাষ সরকারের কাছে, ততটা আমারও আছে। সুতরাং পতাকা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। জাতীয় পতাকা আমাদের হৃদয়ের মধ্যে থাকে।’’