জিনপিং ও বাইডেন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দু’দশক আগে একই কথা বলেছিলেন আমেরিকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। এ বার তাঁর উত্তরসূরি জো বাইডেনের দফতর থেকেও এক বিবৃতি এল।
বুশের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল— চিন যদি আক্রমণ করে, তখন আমেরিকা কি তাইওয়ানকে রক্ষা করবে? বুশ বলেছিলেন, ‘‘নিশ্চয়ই। চিনা আগ্রাসনের মুখে আত্মরক্ষায় তাইওয়ানকে সাহায্য করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” শুক্রবার, হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর চিনের তরফে যে ভীতি প্রদর্শন এবং শক্তির আস্ফালন চলছে, তার মোকাবিলা করে শান্তি ও সুস্থিতি ফেরানোর লক্ষ্যে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত ২ অগস্ট তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন ন্যান্সি। তার পর থেকেই তাইওয়ান প্রণালী এবং পাশের চিন সাগরে বেজিং সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে চিনা হামলার আশঙ্কা করছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য গত দু’সপ্তাহ ধরেই সক্রিয় রয়েছে আমেরিকা। পেলোসির সফরের আগেই তাইওয়ানের জলসীমার কাছে দক্ষিণ চিন সাগরে পৌঁছে গিয়েছিল আমেরিকার চারটি যুদ্ধজাহাজও। তারা এখনও ওই এলাকাতেই রয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের খবর। এই তালিকায় রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন। সেই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টোকিওতে ভারত-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘কোয়াড’-এর অধিবেশনের পর সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, চিনা ফৌজ হামলা চালালে আমেরিকা তাইওয়ানের পক্ষ নেবে। শুক্রবার বাইডেনের দফতরের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ট ক্যাম্পবেলের ঘোষণা, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি নীতি অনুসরণ করেই দৃঢ় ভাবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।’’