কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়কের গাড়ির পিছনে বিক্ষোভরত কয়েক জন। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। শুধু বিক্ষোভই নয়, বিধায়ককে লক্ষ্য করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে দিতে তাঁর গাড়ি তাড়া করে নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়।
শুক্রবার বাঁকুড়ার অন্যান্য ব্লকের বিডিও অফিসের মতো সকাল ১০টা থেকে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় কোতুলপুর বিডিও অফিসেও। মনোনয়ন জমা করার প্রথম দিনেই দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে কোতুলপুর বিডিও অফিসে যান বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। কিন্তু সময় মতো বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পৌঁছয়নি বলে খবর পান তিনি। হরকালী বিডিও অফিস ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় গেটের সামনে জড়ো হওয়া একদল লোক তাঁর উদ্দেশে গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ওঠে স্লোগান। বিধায়কের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনকি, বিডিও অফিসের মূল দরজা বন্ধ করে বিধায়ককে বিডিও অফিস থেকে বেরোতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অবস্থা দেখে বিধায়কের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যান। বিধায়ক গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় একদল লোক তাঁর গাড়ি তাড়া করেন। বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়।
এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোতুলপুরের বিধায়ক অভিযোগ ছুড়েছেন তৃণমূলের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সময়েও মনোনয়নপত্র কোতুলপুরের বিডিও অফিসে পৌঁছয়নি। এই বিষয়টি জানার পর বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে জমায়েত করে এই অশান্তি তৈরি করে। অকথ্য গালিগালাজের পাশাপাশি আমার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন কড়া হাতে এই এ সব মোকাবিলা না করলে আগামিদিনে মানুষ এর মোক্ষম জবাব দেবে।’’
অন্য দিকে, বিধায়কের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের কোতুলপুর অঞ্চল সভাপতি সুরজিৎ রায় বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে এলাকার মানুষ বিধায়ককে কোনও দিন দেখতে পাননি। বিধায়কের কাছ থেকে ন্যূনতম পরিষেবা পাননি সাধারণ মানুষ। উন্নয়নের কোনও কাজেও তিনি থাকেন না। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার মানুষ নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’’