ভোটের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন সুভাষ সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছে জানিয়েছেন, ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রভাবিত করতে চাইছে শাসকদল। বিজেপির সুভাষের দাবি, ‘‘ভোটের আগে তৃণমূলের কর্মীরা ভোটারদের বলছেন, ভোটদানের ছবি মোবাইলে তুলে এনে দেখালেই ‘ফিস্ট’ করার টাকা মিলবে! বিষয়টি নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে জানিয়েছি।’’ যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বিজেপিকে বিঁধেছে শাসকদল।
বুধবার বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভার ভোট। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটকর্মীরা বুথে বুথে রওনা দিচ্ছেন। দুপুরে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে তখনই একেবারে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ সুভাষ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই উপনির্বাচনে তালড্যাংরায় পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে তৃণমূল কর্মীরা নতুন কৌশল নিয়েছেন। তাঁরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং পাড়ার ক্লাবে ক্লাবে গিয়ে বলছেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে মোবাইলে ছবি তুলে আনতে হবে। সেই ছবি এনে তাঁদের দেখালে ‘ফিস্ট’ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন।’’ সুভাষ আরও বলেন, ‘‘এই ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ভোটদানের ছবি তোলা অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। এ জন্য জেল ও জরিমানা হতে পারে। বিষয়টি ইতিমধ্যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানানো হবে। এ বিষয়ে মাইকে প্রচার করে ভোটারদের সচেতন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব।’’
এর আগে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহ বাবুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছিল বিজেপি। ফাল্গুনী ভোটের আগে পড়ুয়াদের বইখাতা বিলি করছেন বলে অভিযোগ করেন সুভাষ। সেই অভিযোগও নস্যাৎ করে দেয় তৃণমূল। তারও আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের নামে এক বিডিও বিধি ভাঙছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সুভাষ তথা বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, প্রচার পাওয়ার জন্য এ সব বলা হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনীর কটাক্ষ, ‘‘সুভাষবাবু সবটাই ঠিক বলেছেন। শুধু দলের নামটা ভুল হয়ে গিয়েছে। ওই রকমের কাজ বিজেপি করে থাকে। তৃণমূল সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। তাই ভোটের সময় ওই সব কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না আমাদের।’’