নিজস্ব চিত্র
ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লাখনি প্রকল্প বানাতে রাজ্য সরকার জোর করে জমি অধিগ্রহণ করলে নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন সংগঠিত করতে চায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার ডেউচায় দাঁড়িয়ে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, ‘‘অনিচ্ছুক কারও কাছ থেকে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে যদি সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে যায় তা হলে নন্দীগ্রামে যে লড়াই হয়েছিল সেই লড়াই হবে এখানে।’’ প্রসঙ্গত যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে ডেউচা-পাঁচামিতে মিছিল করার ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু সে দিনই বিরোধী দলনেতার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
২ থেকে ১১ মে— অমিত শাহের সফর-সহ টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত। তার প্রথম দিনেই সুকান্তর উপস্থিতিতে ডেউচা-পাঁচামিতে মিছিলের ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামেও তাঁর জয়ের এক বছর পূর্তিতে মিছিল হবে। রাজ্য বিজেপির ঘোষণার বাইরে শুভেন্দুর এই জোড়া কর্মসূচি থেকেই নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
আগেও বীরভূমের ওই আদিবাসী প্রভাবিত এলাকায় গিয়েছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের সরকারি প্যাকেজ ঘোষণায় এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ সাড়া দিলেও একটা বড় অংশ এখনও প্রস্তাবিত কয়লাখনির বিপক্ষে। সেই অংশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা আগেই করেছেন শুভেন্দু। গত ২০ এপ্রিল কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সূচনার দিনেই বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে ডেউচা গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে গিয়ে জানান, ‘‘পাঁচামি এলাকার আন্দোলনকারীদের অবস্থানে আমাদের সমর্থন রয়েছে। অরাজনৈতিক মঞ্চ বলে আমি আর গেলাম না। তবে তাঁরা যখনই ডাকবেন, আমাদের পাশে পাবেন।’’
বৃহস্পতিবার ডেউচায় মিছিল করলেও পাঁচামিতে যায়নি বিজেপি। মিছিল শেষে একটি সভাও হয়। শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কয়লা শিল্পের নামে জমি অধিগ্রহণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর একটা নতুন ব্যবসা শুরু হবে এখানে।’’ এর পরেই নন্দীগ্রামের ধাঁচে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন। বৃহস্পতিবার মিছিল করতে গিয়ে কালো পতাকার মুখোমুখি হতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। সুকান্ত দাবি করেন, তৃণমূলের মদতেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাদের এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ সামনে দেখতে পাচ্ছেন তাদের পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু সংগঠনের মদত রয়েছে।’’