সমবেত: উৎসবের মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান। শুক্রবার বিষ্ণুপুরে। ছবি: শুভ্র মিত্র
বিষ্ণুপুরের জোড় শ্রেণি মন্দির সংলগ্ন পোড়ামাটির হাটে শুক্রবার থেকে শুরু হল ‘বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই আসর চলবে তিন দিন।
বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রেরা গান হেয়ে এই সঙ্গীত উৎসবের সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন দফতরের বিশেষ সচিব সুবীর চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি ডিরেক্টর সুমন দাশগুপ্ত, বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
মল্লরাজ গোপাল সিংহের সময়ে ১৭২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাকড়া পাথরের জোড় শ্রেণি মন্দির। আলোর মালায় সেজে উঠেছে ওই চত্বরের ছ’টি মন্দির। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর সুরের আলাপনে মাতিয়ে রেখেছেন রামশরণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়, অধ্যাপক বামাপদ চক্রবর্তী, জগন্নাথ দাশগুপ্ত, সেবক চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য শিল্পীরা। রাজ্যের পর্যটন দফতরের বিশেষ সচিব বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরে অনেক সৃষ্টি লুকিয়ে রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন রঙের আলোর ছটায় স্বপ্নপুরী হয়ে উঠেছে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপযুক্ত পরিবেশ এটাই।”
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, “জোড় শ্রেণির মন্দিরগুলি এত দিন অনেক পর্যটকের নজরে আড়ালে ছিল। প্রশাসন ওই সব মন্দির পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।’’ তিনি জানান, বিষ্ণুপুরের প্রশাসনিক ভবনের পাঁচিল রঙে সাজিয়ে চারণ কবি বৈদ্যনাথের কবিতা দিয়ে ভরানো হয়েছে। এ ছাড়া বিষ্ণুপুরের কৃতি মানুষদের নিয়ে প্রচারের চেষ্টা চলছে। বিষ্ণুপুর যে শুধু মন্দিরের জন্য নয়, নিজস্ব ঘরানার সঙ্গীত, শিল্পকলা ও কুটির শিল্পীদের পীঠস্থানও, তা তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি এখানে কাগজের ব্যাগ তৈরির প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ দিন অতিথিদের হাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।