West Bengal Panchayat Election 2023

‘দলবিরোধী কাজ’, বীরভূমে আরও ১৪ কর্মীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল, আগেই কোপে পড়েছিলেন ৩০ জন

পঞ্চায়েত ভোটের আগে একসঙ্গে এত জন কর্মী সাসপেন্ড হওয়ায় ভোটে বেশ কিছু জায়গায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কটাক্ষ করেছে বিরোধীরাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১১:২২
Share:

শুক্রবার সকালে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। নিজস্ব চিত্র।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়লে বা সেই প্রার্থীদের সমর্থনে কাজ করলে যে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় কাজ না হওয়ায় আরও ১৪ জন কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানাল তৃণমূলের জেলা কোর কমিটি। ঘটনাচক্রে, গত রবিবারই একসঙ্গে দলের ৩০ জন কর্মী সাসপেন্ড করা হয়েছিল একই কারণে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একসঙ্গে এত জন কর্মী সাসপেন্ড হওয়ায় ভোটে বেশ কিছু জায়গায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কটাক্ষ করেছে বিরোধীরাও। তবে তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

দলের তরফে ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে কেউ মেনে না নিলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দেখা যায়, রাজ্য জুড়ে বহু আসনে ‘গোঁজ’ হয়ে দাঁড়ান টিকিট না পাওয়া তৃণমূল নেতানেত্রীরা। শুক্রবার সকালে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ রকম ১৪ জন ‘বিক্ষুব্ধ’কে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানিয়ে দেন জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা রাজনগর, খয়রাশোল, দুবরাজপুর, সিউড়ি-১, রামপুরহাট-১ এবং নলহাটি-২ ব্লকের কর্মী।

গত রবিবারও দলবিরোধী কাজকর্মের জন্য জেলার ছ’টি ব্লক থেকে ৩০ জন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনই খয়রাশোল ব্লকের। মুরারই ব্লকের ৭ জন, সিউড়ি ১ ব্লক, রাজনগর, রামপুরহাট ২ ব্লক ও দুবরাজপুর ব্লকের ১ জন করে কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজনগরের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বামাপদ ঘোষ। তিনি ছাড়াও আরও কয়েক জন ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ কর্মী ছিলেন বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর মিলেছে। এই ৩০ জনের মধ্যে এ বার নির্দল প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েক জন নির্বাচনেও লড়ছেন।

Advertisement

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বিকাশ বলেন, ‘‘এঁদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা অমান্য করায় দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আজ থেকে এঁদের দলের প্রতি কোনও দায়দায়িত্ব আমরা দিচ্ছি না।” নির্দল প্রার্থীরা যদি জয়ী হন, তা হলে তাঁদের দলে ফেরানো হবে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ বলেন, “এমন কোনও কথা আমরা দিতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, দলের সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। এই তালিকায় নতুন-পুরনো সব কর্মীই থাকতে পারেন, কিন্তু দলের শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নন কেউ।’’

এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। বিজেপির এক জেলার নেতা বলেন, ‘‘এ সমস্ত সাসপেনশন লোকদেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘‘যাঁদের সাসপেন্ড করা হল, তাঁরা নির্বাচনে জিতলে তাঁদেরই আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement