মহম্মদবাজারের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের রুট মার্চ।ছবি: পাপাই বাগদি
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতহীন বীরভূম আসছে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৯টি ব্লকের প্রতিটির জন্য ১ কোম্পানি করে বাহিনী আসবে কি না সেই উত্তর স্পষ্ট নয়। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুধবারের মধ্যে জেলায় পৌঁছে যাবে ধরে নিয়েই প্রস্তত জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।
জেলা পুলিশের একটা সূত্র বলছে, কোথায় কীভাবে বাহিনী রাখা হবে সে ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা আসে নি। তবে বিভিন্ন থানা এলাকায় স্কুল, কলেজ, যুব আবাস, কিসান মান্ডি-সহ নানা জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘ব্লক নয়, বরং প্রতিটি থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’
আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রের কাছে মোট ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হলেও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে। সেই বাহিনী ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে জেলায় জেলায়। বীরভূমের জন্য বরাদ্দ ১৯ কোম্পানি।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘এরিয়া ডমিনেশনের’ কাজে লাগানো হয়েছে। বাকি ১৮ কোম্পানি বাহিনী জেলায় আসার কথা। বাহিনী এলেই কমিশনের নির্দেশ মেনে বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন ভোটারেরা। তবে এই সংখ্যক বাহিনী পর্যাপ্ত নয় বলছেন বিরোধীরা। তবে তৃণমূলের দাবি, বিধানসভাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়ার পর পর্যুদস্ত হয়ে বিরোধীরা অজুহাত খুঁজছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘যে ব্যবস্থায় ভোট হচ্ছে সেখানে তো কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে এটা ঠিক কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এলে ভোটারদের ভরসার জায়গা তৈরি হবে।’’ বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘বোলপুর মহকুমায় কার্যত নির্বাচনটাই নেই। তবে যেটুকু বেঁচে আছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে মানুষ ভোট দিতে পারবেন।’’
জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোটাররা নির্ভয়েই ভোট দেবেন। তা না হলে লোকসভা, বিধানসভা ভোটে শাসক দল এত এত ভোট পায় কেন? বিরোধীরা ব্যর্থতা ঢাকতে অজুহাত খুঁজতেই থাকে।’’