Visva Bharati

শান্তিনিকেতনে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, প্রতিবাদে অনশনে উপাচার্য

যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর আবহে ফেসবুকে ‘ভিবি কনফেশন’ নামে একটি গ্রুপে ওই পোস্টটি শান্তিনিকেতন নিয়ে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সেই পোস্টের প্রতিবাদেই অনশনে বসেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ১১:৩৬
Share:

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।

অনশনে বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের মূল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কর্মীদের নিয়ে অনশন শুরু করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন ধরনাও। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের অনশন কর্মসূচি। তা চলবে বিকেল পর্যন্ত। যাদবপুরকাণ্ডের আবহে সম্প্রতি শআন্তিনিকেতনে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকারের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সেই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েই অনশনে বসেছেন বিদ্যুৎ। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, ওই পোস্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

Advertisement

যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর আবহে ফেসবুকে ‘ভিবি কনফেশন’ নামে একটি গ্রুপে ওই পোস্টটি শান্তিনিকেতন নিয়ে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ওই পোস্টটিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমেও। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাদবপুরকাণ্ডের পর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা ওই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতী পরিবার কলুষিত হয়েছে। তারই প্রতিবাদে সোমবার উপাচার্যের অনশন এবং ধর্না কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ যেখানে অনশনে বসেছেন সেই সঙ্গীতভবনে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

কী লেখা হয়েছিল ফেসবুকের ওই পোস্টটিতে? নিজেকে শান্তিনিকেতনের ছাত্রী দাবি করে ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, “এখানে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু আর টিকতে পারছি না। শারীরিক এবং মানসিক দু’দিক দিয়েই শিকার হয়ে যাচ্ছি। ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আজ বাধ্য হয়ে এখানেই লিখলাম। গ্র্যাজুয়েশনের সেকেন্ড ইয়ার থেকে শারীরিক ভাবে কয়েক জন পশুর ন্যায় শিক্ষকের শিকার আমি। কোনও দিন বলতে পারিনি। আজ বলতে বাধ্য হলাম। কারণ আর পারছি না। শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা আর বিশ্বভারতীতে পড়া আমার জীবনে যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, “বেশি দিন হয়তো টিকতে পারব না। মা, বাবা আর আমার এক ভাই আছে। এখনও যে বেঁচে আছি শুধু তাঁদের জন্যই। কিন্তু এই শারীরিক নির্যাতন আমায় শেষ করে দিয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement