জনশূন্য: নেই অতিথি। নিজস্ব চিত্র
রং নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পর্যটকদের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হল মশানজোড় বাঁধ সংলগ্ন সেচ দফতরের অতিথি নিবাস।
কয়েক দিন ধরেই কলকাতার জলসম্পদ ভবন এবং সিউড়ির সেচ দফতর থেকে ওই ভবনের ‘বুকিং’ বন্ধ রাখা হয়েছে।
অগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ময়ূরাক্ষী নদীর মশানজোড় বাঁধে রং করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সংঘাত হয় পড়শি রাজ্যের বিজেপি শাসকের। তার জেরে রংয়ের কাজ বন্ধ করতে হয়। শুধু তা-ই নয়, জলাধারে যাওয়ার রাস্তায় থাকা রাজ্য সরকারের দু’টি স্বাগত-তোরণে বিশ্ববাংলা ‘লোগো’র উপরে ঝাড়খণ্ড সরকারের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুমকা ও বীরভূম প্রশানের একাধিক বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র মেলেনি।
সেই আবহেই এ বার বন্ধ হল অতিথি নিবাসও।
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ওই বাঁধটি অবস্থিত হলেও (তৎকালীন বিহারে) চুক্তি মোতাবেক প্রশাসনিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতর তা দেখাশোনা করে। বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে জল ছাড়া— সবই ওই দফতরের অধীনে রয়েছে।
দফতরের বক্তব্য, বিজেপির ‘বাধায়’ রংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে মশানজোড়ে আসা পর্যটকদের নিয়ে নতুন কোনও বিতর্ক এড়াতেই অতিথি নিবাস আপাতত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বীরভূম ময়ূরাক্ষী ক্যানাল সেচের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কিংশুক মণ্ডল বলেন, ‘‘অতিথি নিবাস বন্ধ করার জন্যে কেউ চাপ দেয়নি। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাতে আর কোনও নতুন বিতর্ক না হয়। তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এটা কিছু দিনের মধ্যেই পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।’’ ওই আধিকারিকের সংযোজন, সাধারণ পর্যটকরা আসতে না পারলেও, সরকারি আধিকারিকেরা ওই অতিথি নিবাসে আসতে পারছেন।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁধের গা ঘেঁষে থাকা ওই অতিথি নিবাসে ছ’টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে একটি সরকারি আধিকারিকদের জন্যে। অন্যগুলিতে থাকতে পারেন পর্যটকেরা।