তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের কথা না শোনার অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে সচিবকে মারধর করল এক বহিরাগত যুবক। এমনই অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন হুড়া ব্লকের মাগুড়িয়া-লালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে হুড়া থানা এলাকারই চাকলতা গ্রামের বাসিন্দা বদন চন্দ্র নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। অভিযোগ, সে দিন অফিস খোলার কিছু পরেই এক ব্যক্তি অফিসে ঢুকে পঞ্চায়েত সচিব বক্রেশ্বর মণ্ডলের উপর চড়াও হয়ে কেন তিনি প্রধান ও উপপ্রধানের কথা অমান্য করছেন, তা নিয়ে কৈফিয়ত্ তলব করেন। তারপরেই ওই বহিরাগত বক্রেশ্বরবাবুকে চড় মারে ও তাঁর বুকে ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। যাওয়ার সময় সে হুমকি দেয়, এই ঘটনা পাঁচকান করলে এবং ভবিষ্যতে প্রধান ও উপপ্রধানের কথা না শুনে চললে পরিণতি খারাপ হবে। অভিযোগ, সে দিনই পঞ্চায়েতের সচিব ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করলে পুরো ঘটনাটি মিটমাট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা। বিকেলে পুরুলিয়া সদরে এসে তিনি জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলাশাসক অভিযোগপত্রটি পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বক্রেশ্বরবাবু বলেন, “এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যা ঘটেছে সে সময় অফিসে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা দেখেছেন। তাছাড়া আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে মুখ না খোলার জন্য। এই অবস্থায় আমি কোনও কথা বলতে পারব না। আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।”
ওই অভিযোগ সম্পর্কে মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান প্রসেনজিত্ পরামাণিকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি দাবি করেন, “সে দিন পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে এমন কিছু ঘটেনি।” সচিব কি তাঁর কথা শুনে চলছেন না? এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তিনি শুধু বলেন, “আমার সঙ্গে সচিবের কোনও সমস্যা নেই। পঞ্চায়েতে বিভিন্ন রকমের কাজ নিয়ে মানুষ আসেন। তাঁদের কারও সঙ্গে কিছু হয়ে থাকতে পারে।’’
প্রধানের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সুভাষ মাহাতো বলেন, “সচিবকে মারধরের ঘটনার কথা আমি সে দিনই শুনেছি। তবে তা যে পঞ্চায়েত অফিসেই ঘটেছে, তা জানি না।”
কৃষি ও পাঠ্যসরঞ্জাম বিলি। সিআরপিএফের বান্দোয়ানের কুচিয়া ও বরাবাজারের বেড়াদার শিবির থেকে সম্প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে কৃষি এবং পড়ুয়াদের পাঠ্য সরঞ্জাম বিলি করা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “জেলার সমস্ত থানা এলাকায় জনসংযোগ শিবির করতে বলা হয়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক সহজ করার জন্য এ ধরনের শিবির আরও করা হবে। দু’টি শিবিরে সিআরপিএফের ডেপুটি কমান্ডার মৃত্যুঞ্জয় হাজরা, ডিএসপি (সদর) দেন্দুপ শেরপা ও অন্য পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।