আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে অভিযুক্ত আশ্বিনাথ সোরেনকে। নিজস্ব চিত্র।
সন্তান খুনে অভিযুক্ত আশ্বিনাথ সোরেনকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। চার দিনের জন্য পুলিশের হেফাজতে ছিল আশ্বিনাথ। শুক্রবার তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করেন তদন্তকারীরা। বিচারক তখন অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, মেয়েকে কী ভাবে এবং কেন খুন করেছে অভিযুক্ত সে কথা স্বীকার করেছে। তার সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সন্তানের মৃতদেহও। এই অবস্থায় অভিযুক্তকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তাই তাকে পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষের আগেই আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বছর চারেক আগে পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার ভাতুইকেন্দ গ্রামের সোহাগীর সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তুলসা গ্রামের আশ্বিনাথের। বিয়ের বছর দেড়েকের মাথায় একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোহাগী। সম্প্রতি দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, তার পর থেকেই সোহাগীর উপর অত্যাচার শুরু করে আশ্বিনাথ। গত ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় কন্যাসন্তানকে বাড়ির পাশে থাকা একটি কুয়োয় ফেলে দেয় সে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে ঘরবন্দি করে আশ্বিনাথ।
ইতিমধ্যেই কুয়ো থেকে পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। পড়শিরা যাতে সন্দেহ না করে তাই মেয়ের দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে ধানজমিতে পুঁতে ফেলে আশ্বিনাথ। অন্য দিকে, সোহাগীকে ঘরবন্দি করার কথা জানতে পেরেই ১৭ অক্টোবর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি হাজির হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সোহাগী এবং তাঁর প্রথম কন্যাসন্তানকে উদ্ধার করেন তাঁরা। এর পরই ১৮ অক্টোবর আশ্বিনাথের বিরুদ্ধে ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।