মঙ্গলবার খুলছে বাংলাদেশ ভবন

বেশ কয়েক মাসের প্রতীক্ষার পরে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

বেশ কয়েক মাসের প্রতীক্ষার পরে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’। ওই দিন সকাল সাড়ে দশটায় বাংলাদেশ ভবনের দরজা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। শারদোৎসবের ছুটি পর্যন্ত বাংলাদেশ ভবনে প্রবেশের জন্য কোনও মূল্য লাগবে না। এমনকি কোনও প্রবেশপত্রও আলাদা করে বিশ্বভারতী থেকে দেওয়া হবে না। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যটক ও সাধারণ মানুষদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ভবন প্রবেশের জন্য কিংবা গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা দেখার জন্য তাঁরা যেন একটি বৈধ সচিত্র পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখেন।

Advertisement

চলতি বছরের ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের দিনেই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভবনের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু কাজ বাকি থাকায় এই কয়েক মাস পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশ ভবন খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বার শান্তিনিকেতন ঘুরতে এলে বাংলাদেশ ভবনেও প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকেরা।

ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সাক্ষ্য বহন করছে বাংলাদেশ ভবন। বিশ্বভারতীর জমি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে ভবনটি। গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা ছাড়াও ৪৫৩টি আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহ, ৩৫০ আসনের সেমিনার হল এবং ১০৮ আসনের ক্যাফেটেরিয়া তৈরি হয়েছে ভবনের ভিতরেই। কিন্তু, এত দিন দরজার বাইরে থেকেই ভবনটি দেখে ফিরে যেতে হচ্ছিল পর্যটকদের, এ বার সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে সকলেই ভিতরে যেতে পারবেন। বিশ্বভারতী সূত্রে জানানো হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি এবং কেন্দ্রের ছুটিগুলি ছাড়া সব দিন এই ভবন খোলা থাকবে সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। তবে প্রতিদিন দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজন বিরতির জন্য সংগ্রহশালা বন্ধ থাকবে।

Advertisement

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু অসম্পূর্ণতা থাকার পরেও শুধু সাধারণ মানুষের ভবনে প্রবেশের আগ্রহ দেখেই আগামী মঙ্গলবার ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আশা করি, এর ফলে সকলেই খুশি হবেন।’’ বাংলাদেশ ভবন খুলে যাওয়ার খবর শুনে আপ্লুত বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাও। বাংলাদেশের ছাত্রী ময়ূরাক্ষী সান্যাল, বিশ্বভারতীর ছাত্র সুকমল দালাল, অনীশ ঘোষদের কথায়, ‘‘এ বার থেকে ভবনের গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারব। সংগ্রহশালা থেকেও অনেক কিছু জানতে পারব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement