ঝাড়খণ্ডের বন্‌ধে বান্দোয়ানে দুর্ভোগ

ঝাড়খণ্ডে বন্‌ধের জেরে পশ্চিমবাংলার সীমানা লাগোয়া এলাকায় প্রভাব পড়ল রবিবার। এ দিন ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দেয় ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মূলবাসী কমিটি। যার জেরে বান্দোয়ান-বরাবাজারের মতো সীমানা লাগোয়া থানা এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০১:২৩
Share:

ঝাড়খণ্ডে বন্‌ধের জেরে পশ্চিমবাংলার সীমানা লাগোয়া এলাকায় প্রভাব পড়ল রবিবার। এ দিন ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দেয় ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মূলবাসী কমিটি। যার জেরে বান্দোয়ান-বরাবাজারের মতো সীমানা লাগোয়া থানা এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

বান্দোয়ান সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পটমদা ব্লকের আদিবাসী মূলবাসী কমিটির সভাপতি প্রদীপ বেসরা বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ করেছি টাটা শিল্পাঞ্চলে স্থানীয় যুবকেরা কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবর্তে ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দারা চাকরির সিংহভাগ দখল করে বসে আছেন। এলাকায় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের দাবিতে আমরা রবিবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছিলাম। ভালই সাড়া মিলেছে।’’ বান্দোয়ানের বাসিন্দা সঞ্জয় হালদার, প্রহ্লাদ অগ্রবালের মতো ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘‘এই এলাকার বাসিন্দাদের নানা কারণে নিয়মিত টাটায় যাতায়াত করতে হয়। অনেকেই শ্রমিক হিসাবে যান। এ ছাড়া আন্তঃরাজ্য বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে। সে সব বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।’’ বান্দোয়ানের পোপো গ্রামের বাসিন্দা সব্জি ব্যবসায়ী সঞ্জয় গড়াই বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে বন্‌ধের ডাকা হয়েছে বলে জানতাম না। শনিবার রাতে লাউ এবং উচ্ছে তুলে ম্যাটাডোরে চাপিয়ে রেখেছিলাম। রবিবার সকালে সব্জি গাড়ি ঝাড়খণ্ডের সীমানায় বন্‌ধ সমথর্নকারীরা আটকে দেওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।’’ বন্‌ধ সমর্থকদের একাংশের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স এবং রোগী নিয়ে যাওয়া গাড়িগুলিকে তাঁরা অবশ্য ছেড়ে দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement