আবাস যোজনার তালিকায় নাম না পেয়ে স্থানীয় বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ তৃণমূলীদের। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনা ইস্যুতে আবার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায়। এ বার পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিশরী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ৮ তৃণমূল সদস্য বিডিও অফিসে গিয়ে নিজেদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে আসেন।
পুরুলিয়ার মান বাজার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিশরি গ্রাম পঞ্চায়েত মহিলা পরিচালিত। আবাস যোজনায় দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই এই পদত্যাগ বলে জানাচ্ছেন পদত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই একই কারণে মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৩ জন সদস্যও ইস্তফা দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি এবং বন কর্মাধ্যক্ষও রয়েছেন। এ নিয়ে বিশরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সজ্জিতা বেশরার দাবি, ‘‘কোনও কারণ ছাড়া আমাদের পঞ্চায়েত এলাকার ১২৮ জনের নাম আবাস যোজনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।’’
এ নিয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভ তো রয়েছেই। কিছু ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিরাও বাদ পড়েছেন।’’ তার পর তিনি দায়ী করেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার দিন দিন নতুন নতুন আইন বের করছে। আসন্ন নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।’’ তবে মানবাজারের এই গণইস্তফার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন সৌমেন। তাঁর আশা, ‘‘সমস্যা মিটে যাবে।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে পুরুলিয়াতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুক্রবার জেলার জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। পুরুলিয়া পুলিশ সূত্রে খবর, আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভের জেরে পুরুলিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে বাঘমুন্ডিতে পথ অবরোধের জন্য মোট ৯ জন এবং পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আটকে রাখার ঘটনায় পুলিশ 8 জনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভের জেরে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি দেখছে।’’