প্রতীকী চিত্র।
যানজট-মুক্ত করতে সিউড়িতে টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। তার দু’দিন যেতে না যেতেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলল তৃণমূল প্রভাবিত টোটো, অটো ইউনিয়ন।
রবিবার সিউড়ি জেলা স্কুলের মাঠে ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় থাকা কয়েক’শো টোটো চালক এই দাবি তোলেন। আজ, সোমবার সব পক্ষকে নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক ডেকেছেন মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর মহকুমা) কৌশিক সিংহ। জেলা সদর সিউড়িতে যান নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পথ নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য চলছে প্রয়োজনীয় নজরদারি। অনেকেরই অভিযোগ, শহরের রাস্তা জুড়ে চলা শ’য়ে শ’য়ে টোটো সেই যানজট মুক্তির প্রধান অন্তরায়।
জেলা পরিবহণ দফতরের হিসেবে শহরে ২২০০ টোটো রয়েছে। তার মধ্যে নথিভুক্ত টোটোর সংখ্যা ৮০০। দিন কয়েক আগে টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেই পুরসভা এবং পুলিশ দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজট আটাকাতে টোটো নিয়ন্ত্রণের কথা জানায়। ঠিক হয়েছিল, দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় সকাল ৯-১২টা এবং বিকাল ৩-৭টা পর্যন্ত শহরের মূল রাস্তায় কোনও টোটো চলাচল করবে না। গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে টোটো-অটো ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শুক্রবারই সেটা মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার সিউড়ি জেলা স্কুলের মাঠে জড়ো হওয়া টোটো চালকেরা জানান, এমন সিদ্ধান্তে তাঁদের রুজি-রুটি বন্ধ হবতে বসেছে।
তৃণমূল প্রভাবিত অটো-টোটো ইউনিয়নের সভাপতি শেখ হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমরাও চাই শহর যানজট মুক্ত থাক। কিন্তু দিনের ৭ ঘণ্টা টোটো বন্ধ থাকলে, গ্রাম থেকে টোটো আসা বন্ধ হলে আর কখন ভাড়া পাবেন চালকেরা?’’