Anubrata Mondal

পুরি-সব্জিতে প্রাতরাশ, রাতে বেগুনপোড়া, থানার খাটে নাক ডাকিয়ে ‘নিশ্চিন্তে’ ঘুমোলেন কেষ্ট

মঙ্গলবার দুপুরের পর দুবরাজপুর থানায় আনা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর জন্য একটি অব্যবহৃত ঘরকে পরিষ্কার করে খাট, বিছানা পাতা হয়। লাগানো হয় সিসিটিভি। রাতে সেখানেই ঘুমোন কেষ্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫৯
Share:

দুবরাজপুর থানায় প্রথম রাত কাটল অনুব্রতের। — ফাইল ছবি।

এত দিন ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। মঙ্গলবার থেকে তিনি ফিরেছেন নিজের জেলা, বীরভূমে। তার উপর তিহাড়-যাত্রা থেকেও আপাত স্বস্তি মিলেছে। ফলে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আপাত ভাবে বেশ নিশ্চিন্তই দেখিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তিনি ছিলেন দুবরাজপুর থানায়। তাঁর জন্য থানারই একটি ঘরে খাট পাতা হয়েছিল। তাতেই আরাম করে ঘুমিয়েছেন রাতে। সকালে উঠে পুরি-সব্জি দিয়ে প্রাতরাশ সারেন।

Advertisement

আদালতের নির্দেশে দুবরাজপুর থানার হেফাজতে থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থানায় আনা হয় তাঁকে। মুড়ি, চপ দিয়ে খাওয়া সারেন। অনুব্রত যে থানায় রাত্রিবাস করতে পারেন সে কথা আগাম আঁচ করে একটি ঘরে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। অব্যবহৃত ঘরটি সাফসুতরো করে খাট পাতা হয়। সেই খাটের উপর পরিপাটি করে পাতা হয় বিছানা। সেই খাটেই পুলিশ হেফাজতের প্রথম রাত কাটল অনুব্রতের। সেই ঘরে লাগানো হয়েছে সিসিটিভিও। যাতে কেষ্টর গতিবিধি পুরোটাই থাকে নজরবন্দি।

মঙ্গলবার রাতে থানায় অনুব্রতকে দেওয়া হয় তিনটি আটার রুটি, বেগুনপোড়া এবং ডাল। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রত তৃপ্তি ভরে একটি রুটিই খেয়েছেন বেগুনপোড়া এবং ডাল দিয়ে। তার পর নতুন পাতা বিছানায় শুয়ে টানা ঘুম। উঠেও পড়েছেন সাতসকালে। মুখ ধুয়ে খেয়েছেন চা আর বিস্কুট। পরে প্রাতরাশ সেরেছেন পুরি ও সব্জি দিয়ে।

Advertisement

অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে রাখার ইডির আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন মামলায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুবরাজপুরের আদালত। ফলে তিহাড়-যাত্রা আপাতত স্থগিত হওয়ায় আপাত ভাবে খানিকটা হলেও নিশ্চিন্ত হয়েছেন কেষ্ট। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল মঙ্গলবার রাতে থানার খাটে শুয়ে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

এ দিকে জেলা সভাপতি থাকবেন শুনে আশেপাশের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড় লেগে আছে থানায়। কিন্তু অনুব্রতের ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না পুলিশ। কাউকে তাঁর কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে করা হচ্ছে কয়েক দফা তল্লাশি। ফোন নিয়েও কেউ অনুব্রতের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

মঙ্গলবার বিকেলে তৃণমূলের বীরভূমের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, অনুব্রত তাঁদের বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করতেই হবে। এ বিষয়ে অনুব্রত আরও কোনও নির্দেশ দেন কি না তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement