ফাইল চিত্র
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত খয়রাশোলের দাঁড়িয়ে দলের সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার কর্মী সম্মেলন থেকে অনুব্রতর বার্তা, ‘‘দলটা টিকে থাকলেই আপনি আমি। দল না থাকলে কারও দাম নেই। তাই পারস্পরিক বিরোধ মিটিয়ে দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে মানুষের পাশে থাকুন। বেচাল হলে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’
খয়রাশোলে শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তার জেরে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে বারবার। দলের অনেকে দাবি, তারই জেরে গত লোকসভা নির্বাচনে ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েতে বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে গিয়েছিল শাসক দল। শাসক দল গোটা ব্লকে পিছিয়ে ছিল ১৫৩৬৭টি ভোটে। তারপরও সাংঠনিক উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন না নেতাদের অনেকেই। বরং প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব ও দূর্নীতি নিয়ে চর্চা চলেছে। দুর্বল সংগঠনকে চাঙ্গা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। দিন কয়েক আগে ফের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে।
এ দিন খয়রাশোলের ব্লক কার্যালয়ের পাশের মাঠে আয়েজিত কর্মী সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক স্তরের নেতা, প্রধান উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা। দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে এ দিনের বৈঠকেই অনুব্রত স্পষ্ট করে দেন দুবরাজপুর বিধানসভা জিততে হলে পুরনো অবস্থান থেকে সরতে হবে। একত্রিত হতে হবে। বিরোধ ও দূর্নীতি ভুলতে হবে।
প্রতিটি অঞ্চলের কোথায় ত্রুটি বিচ্যুতি সে সব ধরে ধরে আলোচনা করেন অনুব্রত। সেখানে বাবুইজোড়ে যুযুধান দুই নেতা আবদুর রহমান ও কেদার ঘোষের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পারশুণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সর্মাণী মণ্ডলের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতি উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় সমন্বয় না থাকা নিয়ে ধমক দেন। পাঁচড়া অঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের টাকা ও বাংলা আবাস যোজনার টাকা নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সরব ছিলেন অনুব্রত। একই কারণে ধমক খেয়েছেন লোকপুর ও রূপপুরের অঞ্চল সভাপতিরাও। অনুব্রতর নিদান, ‘‘যেখানে যেখানে সমস্যা, সেটা মেটাতে পর্যবক্ষক বিকাশ রায়চৌধুরী বসবেন। সমস্যা না মিটলে প্রয়োজনে জেলায় পাঠাবেন। তারপরও যদি কাজ না হয় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’