জেলা বিজেপির দুই নেতা রামকৃষ্ণ রায়, কালোসোনা মণ্ডলের সঙ্গে দলের পতাকা হাতে সুমিত মণ্ডল। ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটের পরে পরেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাই হিসেবে। সেই বোলপুরের বাসিন্দা সেই সুমিতরঞ্জন মণ্ডলকে শুক্রবার গ্রেফতার করল পুলিশ। এ দিন সকালে বোলপুর শহরের চৌরাস্তা সংলগ্ন বাজার থেকে সুমিতকে গ্রেফতার করা হয়। পুরনো একটি মানলার সূত্রে তাঁকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা সুমিত পেশায় শিক্ষক। এ দিন তিনি নিজের গাড়িতে বোলপুর থেকে কীর্ণাহারে যাচ্ছিলেন অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে। বিজেপি-র অভিযোগ, হঠাৎই বোলপুর বাজারের কাছে বোলপুর থানার পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। এর পরে সুমিতকে জোরজবরদস্তি, টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর খানিক পরে সুমিতের গ্রেফতারের খবর জানাজানি হয়। গাড়ি থেকে নামিয়ে সুমিতকে গ্রেফতার করার ভিডিয়ো ফুটেজ (এর সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিনা কারণে, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে সুমিতকে পুলিশ নির্মম ভাবে গাড়ি থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি।’’
গত ২৮ জুন বোলপুর রেল ময়দান মাঠে বিজেপিতে যোগদান করেন সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত। যদিও সে দিনই অনুব্রত দাবি করেছিলেন, সুমিতের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি সূত্রের খবর, বর্তমানে সুমিত দলের শিক্ষক সংগঠনের সদস্য হিসাবে কাজ করছিলেন। বিজেপি-র জেলা সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশের কাজ শান্তি রক্ষা করা। সুমিত তো কোনও অশান্তি সৃষ্টি করেনি। তা হলে পুলিশ কেন জোর খাটিয়ে সুমিতকে গ্রেফতার করল?’’
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘সুমিত মণ্ডল আগের একটি মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ অনুব্রত এ দিনও বলেন, ‘‘ও (সুমিত) আমার সম্পর্কে কেউ হয় না। ওর সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না!’’