ফাইল চিত্র
ফের ‘অ্যারেস্ট করিয়ে দেওয়া’র ‘নিদান’ দিতে শোনা গেল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। দলের এক মহিলা কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের সম্বন্ধে এই ‘নিদান’ দেন অনুব্রত। তা শুনে বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘পুলিশ এমনিতেই শাসক দলের কথা শুনে বেছে বেছে আমাদের দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। এই নিদানের পর সেই দাপট হয়তো আরও বাড়বে।’’ সোমবার দুবরাজপুরে তিন অঞ্চল নিয়ে বুথ ভিত্তিক কর্মী-সম্মেলন ছিল শহরের রবীন্দ্র সদনে। পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ নিয়ে আলোচনার ফাঁকে, মল্লিকা হাজরা নামে এক মহিলা কর্মী অনুব্রতর কাছে নালিশ জানান, এক বছর আগে তাঁর বাড়িতে বোমাবাজি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর দাবি, না নেতারা যোগাযোগ করেছিলেন, না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
এমন অভিযোগ শোনার পরই অনুব্রত জানতে চান মামলাটি এখনও চলছে কি না। ‘হ্যাঁ’ উত্তর আসার পরই জেলা সহ সভাপতি তথা সরকারি কৌঁসুলি মলয় মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, ‘‘অ্যারেস্ট করিয়ে দাও।’’ ওই মহিলা কর্মীকে ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র বা অঞ্চল সভাপতি শেখ মুকুলের কাছে মামলার নম্বর দিতে বলেন। শেখ মুকুলের কথায়, ‘‘ওই ঘটনায় আমাদের লোক গ্রেফতার হলেও বিজেপির কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’ বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, দোষ তাদের দলের সমর্থকেরা করেননি। এর আগেও অনুব্রত ‘অবাধ্য’ দলের কর্মীর বিরুদ্ধেও ‘গাঁজা কেসে অ্যারেস্ট করিয়ে দেওয়ার’ নিদান দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছর জুলাইয়ে আঁরোয়া গ্রামে রাজনৈতিক সংঘাতে বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটের পাশাপাশি চলেছিল বোমা, গুলি। বোমার আঘাতে জখম হন গ্রামের দুই প্রৌঁঢ়, যাঁরা এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। বিজেপির অভিযোগ, গ্রামে অশান্তির সেই ঘটনায় ইন্ধন
জুগিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী মল্লিকাদেবী। তাঁর বাড়িতে বোমা মারার ঘটনা সাজানো বলে দাবি বিজেপির। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সেদিন গ্রামে এসেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। দু’পক্ষই অভিযোগ করে। শাসক দলের সমর্থকেরা গ্রেফতার হন। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘আমাদের তরফে অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন। এ বার শাসকদলের কথায় অতি তৎপর হবে কি না সেটা সময় বলবে।’’