গেস্ট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছেন ১০০-র বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ছে বোলপুরের রতন পল্লি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারি গেস্ট হাউসে। এখনও পর্যন্ত এই গেস্ট হাউসের কাছে মোতায়েন রয়েছে ১০০-র পেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। ১৬টি গাড়ি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল বোলপুরে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর দুর্গাপুর এবং আসানসোল থেকে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী বোলপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। গেস্টহাউসের ভিতরে এস পি পদমর্যাদার অফিসাররা বৈঠকে বসেছেন বলেও সূত্রের খবর। বৃহস্পতি সকাল থেকেই উত্তেজনা এবং বিভিন্ন জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা বোলপুর জুড়ে। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কেন এত কেন্দ্রীয় বাহিনী বোলপুর পৌঁছেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বুধবার মধ্য রাতেই তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে সিবিআইয়ের বড় দল। সিবিআই যে সরকারি গেস্ট হাউসে উঠেছে সেখানে বৃহস্পতিবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি ডাকা হয়েছে এসবিআইয়ের এক ব্যাঙ্ককর্মীকেও। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বোলপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে বেরোবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গেস্ট হাউসের বৈঠক শেষে তাঁরা অভিযানে বেরোবেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি গাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতে বোলপুরে এসে পৌঁছন৷ এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে এবং দু’টি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে এসেছে বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বুধবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। ঘটনাচক্রে সেই রাতেই অনুব্রতর দোরগোড়ায় সিবিআইয়ের দলের ঘাঁটি গাড়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হলেও দশম বারের জন্য তিনি এই হাজিরা এড়িয়ে যান। বুধবার ১১ টা নাগাদ তাঁর নিজাম প্যালেসে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পৌঁছননি। অর্শ-সহ আরও অনেক রোগের কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের কাছে ১৪ দিনের সময়ও চেয়ে নেন কেষ্ট। পাশাপাশি, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের থেকে এ-ও ইঙ্গিত মিলেছে যে, চিকিৎসা করাতে তাঁর দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। এমন একাধিক জল্পনার আবহেই বোলপুরে পা রাখলেন সিবিআই আধিকারিকরা।